মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চি এবং দেশটির রাষ্ট্রপতি উইন মিনতকে আটকের ঘটনার পর দেশটির পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে বাংলাদেশ।
এর ফলে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে বাংলাদেশে উদ্বেগ সৃষ্টি হচ্ছে।
সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানায়, মিয়ানমারে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় থাকুক সেটি দেখতে চায় বাংলাদেশ।একইসঙ্গে দেশটিতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকার আশাবাদও ব্যক্ত করা হয়েছে বিবৃতিতে।
এর আগে সোমবার ভোরে সেনাবাহিনীর অভিযানে সু চি এবং উইন মিনতসহ এনএলডির বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতাকে আটক করা হয়েছে। সৈন্যরা দেশের বিভিন্ন প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর বাসায় গিয়ে তাদের ধরে নিয়ে যায়।
বিবিসির বার্মিস সার্ভিস জানিয়েছে, নাইপিডোতে স্থগিত করা হয়েছে দেশটির পার্লামেন্ট অধিবেশন এবং টেলিফোন, ইন্টারনেট ও টিভি চ্যানেল সম্প্রচারও বন্ধ করা হয়েছে দেশটিতে।
গত নভেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল এনএলডি নিরঙ্কুশ বিজয় লাভ করে। তবে ওই নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ তোলে দেশটির সেনাবাহিনী। এবার সেই অভিযোগেই অভিযান চালিয়ে সু চিসহ এনএলডির শীর্ষ নেতাদের আটক করা হলো।