1. successrony@gmail.com : Mehedi Hasan Rony :
  2. arif_rashid@live.com : Arif Rashid : Arif Rashid
  3. meherunnesa3285@gmail.com : Meherun Nesa : Meherun Nesa
শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৫:৩৮ অপরাহ্ন

বিরল ‘রেড কোরাল’ সাপটির চিকিৎসা চলছে রাজশাহীতে

দিনলিপি নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
  • ৫৭৩ বার

পঞ্চগড়ে উদ্ধার বিশ্বের বিরলতম বিলুপ্ত প্রজাতির রেড কোরাল কুকরি সাপটির চিকিৎসা চলছে রাজশাহীতে। বর্তমানে সাপটির শারীরিক অবস্থা খুবই নাজুক। মাটির নিচ থেকে উদ্ধারের পর দেখা যায়, সাপটি যন্ত্রের আঘাতে মারাত্মক আহত হয়েছে। এ অবস্থায় সেটিকে চিকিৎসা ও নিবিড় পর্যবেক্ষণের জন্য রাজশাহীতে পাঠানো হয়।

সাপটি বর্তমানে রাজশাহীর পবা উপজেলার সাপ উদ্ধার ও সংরক্ষণ কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়েছে। সেখানেই রেখে চলছে চিকিৎসা। তার শরীরের ক্ষত মারাত্মক আকার ধারণ করছে। এখনও সংকট কাটেনি তার। সংকট কাটতে লাগবে আরো কয়েক দিন।

কয়েক দিন আগে পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার ঝলইশালশিরী ইউনিয়নের কালিয়াগঞ্জ বাজার এলাকা থেকে বিরল প্রজাতির সাপটি উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারের সময় সাপটির নাড়িভুঁড়ি বের হয়ে যাওয়ায় সেটি এখনো খুবই জটিল অবস্থায় আছে। চিকিৎসার মাধ্যমে সাপটিকে বাঁচানোর চেষ্টা চলছে।

রাজশাহীর পবায় সাপ উদ্ধার ও সংরক্ষণ কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা সাপ গবেষক বোরহান বিশ্বাস রোমন এ তথ্য জানিয়েছেন। রাজশাহীতেই বর্তমানে সাপটির চিকিৎসা চলছে।

রাজশাহীর বোরহান বিশ্বাস সাপটির চিকিৎসা দিচ্ছেন। তিনি চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ভেনম রিসার্চ সেন্টারের প্রধান প্রশিক্ষক। তিনি জানান, এখন পর্যন্ত দেশের শুধু পঞ্চগড় জেলাতেই গবেষকরা মাত্র দুটি এ প্রজাতির সাপের দেখা পেয়েছেন। গত দুই মাস আগে এরকমই একটি সাপ উদ্ধার করা হয়েছিল, যেটি মারা যায়। এই সাপটির শারীরিক অবস্থাও খুব নাজুক। সাপটার পেটের নাড়িভুড়ি বেরিয়ে পাকস্থলিটাও ফুটো হয়ে গেছে। আর শীতকালে সে খাবারও নেবে না। তবে তিনি সাপটিকে বাঁচানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে।

বোরহান বিশ্বাস জানান, উজ্জ্বল কমলা ও লাল প্রবাল রংয়ের এই সাপটি অত্যন্ত মোহনীয়। লাল প্রবাল সাপটি মৃদু বিষধারী ও অত্যন্ত নিরীহ। এই সাপটি পৃথিবীর দুর্লভ সাপদের একটি। পৃথিবীতে হিমালয়ের পাদদেশের দক্ষিণে ৫৫ আর পূর্ব-পশ্চিমে ৭০ কিলোমিটার এলাকায় এটি দেখা যায়।

তিনি আরো জানান, সাপটি নিশাচর এবং বেশির ভাগ সময় মাটির নিচেই থাকে। সম্ভবত মাটির নিচে কেঁচো ও লার্ভা পিপড়ার ডিম ও উইপোকার ডিম খেয়ে জীবন ধারণ করে। নরম মাটি পেলে মাটি খুঁড়ে ভেতরে চলে যাওয়ার প্রবণতা রয়েছে। মাটির ভেতরে থাকার জন্য রোসট্রাল স্কেল ব্যবহার করে সাপটি। রোসট্রাল স্কেল হলো সাপের মুখের সম্মুখ ভাগে অবস্থিত অঙ্গবিশেষ যার সাহায্যে মাটি খনন করে। এ সাপটি পূর্ণ বিষধর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

তিনি বলেন, সাপটির প্রাণ ঝুঁকিমুক্ত কিনা এখনি তা বলা যাবে না। এটি একটি স্ত্রী সাপ। পরবর্তীকালে ডিম দেয়ারও সুযোগ রয়েছে। তবে সাপটি পুরোপুরি সুস্থ হতে আরও ৬-৭ মাস সময় নিবে। এটিকে নরম খাবার দিতে আরো ১৫ দিনের মত সময় লাগবে। পুরো সুস্থ হলে এর ক্ষত পূরণে দুই থেকে তিন বার খোলস পরিবর্তন করতে হবে। তবে শেষ পর্যন্ত দাগ থেকেই যাবে।

সুত্রঃ কালের কন্ঠ।

এ জাতীয় আরো সংবাদ