1. successrony@gmail.com : Mehedi Hasan Rony :
  2. arif_rashid@live.com : Arif Rashid : Arif Rashid
  3. meherunnesa3285@gmail.com : Meherun Nesa : Meherun Nesa
বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৪৩ অপরাহ্ন

জলবায়ুতে অবদানে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ স্বীকৃতি পাচ্ছেন শেখ হাসিনা

দিনলিপি নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ৯ এপ্রিল, ২০২১
  • ২৮৫ বার

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ঝুঁকিতে থাকা দেশগু‌লোর নেতৃত্বে বাংলাদেশের অবদানের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ স্বীকৃতি পাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার (৯ এপ্রিল) ঢাকায় অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী ২২-২৩ এপ্রিল প্রেসিডেন্ট জোসেফ বাইডেনের ‘লিডার্স সামিট অন ক্লাইমেট’-এর প্রস্তুতির অংশ হিসেবে জন কেরির আজকের এই ঢাকা সফর। যেখানে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর নেতৃত্বে বাংলাদেশের অবদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বীকৃতি পাবেন।

প্রেসিডেন্ট বাইডেনের জলবায়ু বিষয়ক বিশেষ দূত জন কেরি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব প্রশমন ও অভিযোজনের প্রয়াসে বাংলাদেশ এবং অন্য ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর সঙ্গে অংশীদারত্বের জন্য সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করতে আজ শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। এছাড়াও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, পরিবেশমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, ভালনারেবল ফোরাম প্রেসিডেন্সির বিশেষ দূত আবুল কালাম আজাদ, সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী এবং আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন জন কেরি।

ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম ও ভালনারেবল টোয়েন্টি গ্রুপ অব ফাইন্যান্স মিনিস্টার্সের চেয়ার হিসেবে বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা এবং জলবায়ু ঝুঁকির সঙ্গে খাপ খাওয়ানো ও সহনশীলতা অর্জনে আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

দূতাবাস জানায়, বৈশ্বিক উষ্ণায়ন নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত প্যারিস চুক্তির বাস্তবায়ন জোরদার করতে যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গীকারের গুরুত্বই কেরির এই সফর বহন করছে। প্রেসিডেন্টের বিশেষ দূতের আলোচনায় জলবায়ু নীতি, বিনিয়োগ, উদ্ভাবন এবং টেকসই অর্থনৈতিক বিকাশের মাধ্যমে সমৃদ্ধি বাড়ানোর ক্ষেত্রে সহযোগিতার ওপর আলোকপাত করা হবে।

জলবায়ু অর্থায়ন নিয়ে আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে একটি গোলটেবিল বৈঠকেও অংশ নেবেন কেরি। যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলারের বাসভবনে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জলবায়ু সংকট রোধে প্রশমন ও অভিযোজনকে সহায়তা দিতে এবং সমৃদ্ধিকে সমর্থন জোগাতে বিনিয়োগ দরকার। এই বিনিয়োগ সংগ্রহের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও বেসরকারি খাতের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করবে যুক্তরাষ্ট্র।

নভেম্বরে জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশনের (ইউএনএফসিসিসি) ২৬তম কনফারেন্স অব দ্য পার্টিজ (কপ২৬) অনুষ্ঠিত হবে। তার আগেই কেরি এই সফরে আসেন। এই সফরের অংশ হিসেবে আবুধাবি ও নয়াদিল্লিতেও যাত্রা বিরতি করেন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের এই বিশেষ দূত।

যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মিলারের বরাত দিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আপনারা আগেও দেখেছেন এবং অব্যাহতভাবে দেখবেন যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে জলবায়ু পরিবর্তনকে আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপক্ষীয় এবং বহুপক্ষীয় আলোচনার সব পর্যায়ে যুক্ত করছে।

‘এসব আলোচনায় অন্য নেতাদের জিজ্ঞেস করছি যে আমরা একসঙ্গে কীভাবে আরও বেশি কাজ করতে পারি। গত ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্র প্যারিস চুক্তিতে আনুষ্ঠানিকভাবে পুনরায় যোগদানের পর এক বিবৃতিতে সেক্রেটারি অব স্টেট অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন একথা বলেন।’

এ জাতীয় আরো সংবাদ