ঢাকাই চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি অভিনেত্রী ও রাজনীতিবিদ সারাহ বেগম কবরী আর নেই। শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) দিনগত রাত ১২টা ২০ মিনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ফারুক আহমেদ জানান, কবরীর ফুসফুসের অবস্থা ভালো নয়। এজন্য তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়েছে।
ওইদিন বিকেলে অভিনেত্রীর ছেলে শাকের চিশতী কবরীর ফেসবুক ফ্যান পেজ থেকে লাইভে এসে এক ভিডিওবার্তায় বলেন, ‘মায়ের অক্সিজেন লেভেল ওঠানামা করছে। এটা ভালো লক্ষণ নয়, তিনি প্রাণপণ লড়ছেন।
আমরা আশাবাদী, তিনি সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে ফিরবেন। ’ পরিবারের পক্ষ থেকে চিশতী সমগ্র দেশবাসী ও অভিনেত্রীর অনুরাগীদের কাছে দোয়া চান।
গত ৫ এপ্রিল কবরীর নমুনা পরীক্ষায় করোনা ভাইরাসের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এরপর ওইদিন রাতেই তাকে কুর্মিটোলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল থেকে স্থানান্তর করা হয়। ৮ এপ্রিল দুপুরে তাকে শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের আইসিইউতে নেওয়া হয়। ১৫ এপ্রিল নেওয়া হয় লাইফ সাপোর্টে। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন নন্দিত অভিনেত্রী।
১৯৬৪ সালে সুভাষ দত্তের ‘সুতরাং’ সিনেমার মধ্য দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করেন কবরী। কাজ করেছেন ‘নীল আকাশের নিচে’, ‘ময়নামতি’, ‘ঢেউয়ের পর ঢেউ’, ‘পরিচয়’, ‘অধিকার’, ‘বেঈমান’, ‘অবাক পৃথিবী’, ‘সোনালী আকাশ’, ‘দীপ নেভে নাই’-এর মতো দর্শকপ্রিয় সিনেমাতে। ২০০৬ সালে তার পরিচালিত প্রথম সিনেমা ‘আয়না’ মুক্তি পায়। ইদানীং তিনি দ্বিতীয় সিনেমা ‘এই তুমি সেই তুমি’নির্মাণের কাজ করছিলেন।