তরুণ কণ্ঠশিল্পী মাঈনুল আহসান নোবেল মানেই যেন বিতর্ক। সারেগামাপা দিয়ে আলোচনায় আসার পর থেকে তিনি একের পর এক বিতর্কের জন্ম দিয়ে যাচ্ছেন। এবার নিজের স্ত্রী সালসাবিলের সঙ্গে ‘সন্তান’ নিয়ে কাদা ছোড়াছুঁড়ি শুরু হলো তার!
গত ২৮ জুন নোবেল তার ফেসবুক পেজে স্ট্যাটাস দেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ। হয়তো আমরা মা-বাবা হতে চলেছি। আমি এবং আমার সহধর্মিণীর জন্য দোয়া করবেন।’
নোবেলের এমন বক্তব্যের পর ৩০ জুন ফেসবুক লাইভে আসেন তার স্ত্রী সালসাবিল। তিনি বলেন, ‘আমি খুবই লজ্জিত এবং আমার জানা নেই কেন বলা হয়েছে যে হয়তো আমি প্রেগন্যান্ট। এমনকি এ ব্যাপারে আমি নোবেলের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি; কিন্তু সে করেনি। আমি প্রেগন্যান্ট নই এবং এ ঘটনায় আমি লজ্জিত। ওর (নোবেল) ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে জানতে পারলাম, আমি প্রেগন্যান্ট!’
এদিকে স্ত্রীর এই মন্তব্যের পর শুক্রবার (২ জুলাই) পুনরায় ফেসবুকে বিষয়টি নিয়ে স্ট্যাটাস দিয়েছেন নোবেল। দীর্ঘ সেই স্ট্যাটাসে তিনি স্ত্রীর বিরুদ্ধে ‘সম্ভাব্য সন্তান হত্যা’র অভিযোগ করেছেন।
নোবেল বলেন, জানি না এতক্ষণে আমার সম্ভাব্য বাচ্চাটি জীবিত আছে নাকি ‘পিলস’ খেয়ে শিশুটির মা শিশুটিকে খুন করেছে। তবে কয়েকটি মাস পর যে শিশু বা ফেরেশতাটি পৃথিবীর আলো দেখতো, আমার প্রাণ চলে গেলেও আমি তার প্রাণহানি হতে দিতাম না।
সন্তানসম্ভবা হওয়ার প্রসঙ্গে সালসাসবিল মিথ্যাচার করেছেন বলেও দাবি নোবেলের। তিনি বলেন, ‘মাতৃত্ব কেবল একজন নারীর জন্যই পবিত্র কিংবা সম্মানের বিষয় নয়। একজন পুরুষের জন্যেও অত্যন্ত আনন্দের এবং গর্বের বিষয়। এগুলো নিয়ে কেউ মিথ্যাচার করে না। একটি শিশুকে ১০ মাস ১০ দিন গর্ভে ধারণ করেন মা। কিন্তু শিশুর পিতা সেই মা-কে ১০ মাস বুকে আগলে রাখে। আমার স্ত্রী, সালসাবিল তার অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার লক্ষণগুলো আমার সাথে শেয়ার করেন এবং তার ফলশ্রুতিতে আমি এক্সাইটেড হয়ে স্ট্যাটাসটি গণমাধ্যমে প্রকাশ করি। সম্ভাব্য পিতা হিসেবে বিষয়টা কি স্বাভাবিক নয়? মাত্র ২৩ বছর বয়সে বাবা হওয়ার খুশি ধরে রাখতে পারিনি বলেই স্ট্যাটাস দিয়েছি।’
নোবেল তার পোস্টে আরও বলেছেন, স্ট্যাটাসটি দেওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে আমার স্ত্রী সালসাবিল আমাকে ফোন করে বাচ্চা ‘অ্যাবরশন’ করে ফেলার হুমকি দেয়। কারণ আমি নাকি তার বাচ্চার বাবা হবার যোগ্য না। আমার অনেক হেটার্স! অনেক কন্ট্রোভার্সি। ব্যাংক ব্যালেন্স এই মুহূর্তে একটু কম। তাছাড়া দু’জন প্রাপ্তবয়ষ্ক ছেলে-মেয়ে স্বসম্মতিতে বিয়ে করেছি, তাই আমার স্ত্রীর পিতৃপক্ষ কোনভাবেই আমাদের বিয়ে টিকতে দেবেনা।
এদিকে স্ত্রী সালসাবিলের সঙ্গে এখন কোনো যোগাযোগ নেই বলেও জানান নোবেল। তিনি বলেন, ‘আমি তো আমার স্ত্রীর কোনও সন্ধানই জানি না। কোথায় থাকে, কার সাথে থাকে, কী করে, কী পরে, কী খায়? কিছুই জানি না। গত দেড় বছরের বৈবাহিক জীবনে আমার সঙ্গে সে খুব অল্প সময়ই ছিলো। সম্প্রতি পাবনা ট্যুরে আমার স্ত্রী নিজেই বলেছেন, তিনি বাচ্চা নিতে ইচ্ছুক। তবে কেন আজ এই কাদা ছোঁড়াছুড়ি।’
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ১৫ নভেম্বর মেহরুবা সালসাবিলকে বিয়ে করেন নোবেল। তার একটি গানের ভিডিওতেও দেখা গেছে সালসাবিলকে। মাঝে একবার তাদের বিবাহবিচ্ছেদের গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল। তবে সেটার সত্যতা পাওয়া যায়নি।
সুত্রঃ ঢাকা পোষ্ট।