1. successrony@gmail.com : Mehedi Hasan Rony :
  2. arif_rashid@live.com : Arif Rashid : Arif Rashid
  3. meherunnesa3285@gmail.com : Meherun Nesa : Meherun Nesa
বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০২:৪৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম:

সবাই সুরক্ষিত থাকতে ব্যাপকভাবে ভ্যাকসিন দিতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

দিনলিপি নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২৭ জুলাই, ২০২১
  • ৩৯৯ বার

করোনাভাইরাসের টিকা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সবাইকে করোনার টিকা দেয়া হবে। এক্ষেত্রে আমার দ্রুত সময়ের মধ্যে করোনার টিকা আনার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমরা টিকা আনতে থাকব এবং একাধারে দিতে থাকব।

তিনি বলেন, ইতিমধ্যে ভ্যাকসিন কেনা আমরা শুরু করেছি। ভ্যাকসিন দেয়াও শুরু হয়েছে। ব্যাপকভাবে ভ্যাকসিন দিতে হবে। যাতে দেশের সবাই সুরক্ষিত থাকে। তবে সব মানুষকে টিকার আওতায় নিয়ে না আসা পর্যন্ত সবাইকে স্বাস্থ্য মেনে চলতে কাজ করে যেতে হবে।

তিনি আরো বলেন, আজ জয়ের জন্মদিন। ৫০ বছর বয়স হলো জয়ের। এই করোনার কারণে আমরা একসাথে হতে পারলাম না। আপনারা এই দিনটি স্মরণ করছেন, সেজন্য আপনাদের ধন্যবাদ জানাই।

জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস উদযাপন এবং জনপ্রশাসন পদক ২০২০ ও ২০২১ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়। এতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।

সবাইকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনার কথা উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, ইতিমধ্যে আমি নির্দেশ দিয়েছি‑ পরিবারে যারা.. ড্রাইভার থেকে শুরু করে বাড়িতে যারা কাজ করে তাদের জন্য ভ্যাকসিন দিয়ে দেয়া হয়। তাহলে সবাই সুরক্ষিত থাকতে পারবে। এর জন্য প্রয়োজনে যত টাকা লাগবে, যত ভ্যাকসিনের প্রয়োজন হবে আমরা কিনব। ভবিষ্যতে আমরা বাংলাদেশে ভ্যাকসিন তৈরি করব। যাতে মানুষের কোন অসুবিধা না হয়।

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ডিজিটাল প্রযুক্তির যুগে প্রতিনিয়ত পরিবর্তন আসবে। নতুন উদ্ভাবন হবে তার সাথে সামঞ্জস্য রেখে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। তাহলেই আমরা বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারব।

তিনি আরো বলেন, আজ গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত দেশের মানুষ সেবা পাচ্ছে। ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধা মানুষ ব্যাপকভাবে পাচ্ছে। আমরা দেশের মানুষকে যে সকল সহযোগিতা করছি তার সবকিছুই এখন ডিজিটাল পদ্ধতিতে হচ্ছে। এতে আমাদের কাজ যথাযথ হচ্ছে, সময় বাঁচছে।

শেখ হাসিনা বলেন, আজকে যেই ডিজিটাল বাংলাদেশে আমি আপনাদের সাথে কথা বলছি। এটা জয়েরই ধারণা, জয়েরই চিন্তা। কারণ, ৮১ সালে এসে যখন বার বার গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করি। তখন বার বার আমাকে গ্রেফতার-গৃহবন্দি করা হয়েছে। তখন বাবার বন্ধু আজিজ সাত্তার কাকা জয় ও পুতুলকে স্কুলে ভর্তি করিয়ে দেন। স্কুল থেকেই জয় কম্পিউটার শিক্ষা নেয়। যখন ছুটিতে আসতো, কম্পিউটার নিয়ে আসতো। জয়ের কাছ থেকেই আমি কম্পিউটার শিখেছি। ৯১ সালে যখন পার্টির জন্য অনেক দামে কম্পিউটার কিনি, তখনই আমরা আলোচনা করি, কীভাবে দেশে কম্পিউটার শিক্ষা শুরু করা যায়।

তিনি বলেন, ৯৬ সালে যখন আমরা সরকার গঠন করি, জয় আমাকে পরামর্শ দিলো কম্পিউটারের ওপর থেকে ট্যাক্স তুলতে হবে, দাম সস্তা করতে হবে। মানুষের কাছে সহজলভ্য করতে হবে, মানুষকে প্রশিক্ষণ দিতে হবে। তাহলেই মানুষ এটা শিখবে। সেভাবেই কিন্তু আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশের যাত্রা শুরু।

তিনি আরো বলেন, আমি আবার যখন সরকারে আসি, দেখি কেউই এটা ব্যবহার করতো না। আমিই নির্দেশ দেই, সব ফাইল যেন কম্পিউটার কম্পোজ হয়ে আমার কাছে আসে। এখন কিন্তু সে সুফল আমরা ভোগ করছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি সরকারি কর্মকর্তাদের অনুরোধ করব আপনারা জনগণের সেবা করুন। আপনারা ভালো কাজ করলে যেমন পুরস্কার পাবেন, আর যদি অন্যায় কাজ করেন তাহলে তাদের কোনো ছাড় দেয়া হবে না। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তিনি বলেন, এই করোনার সময় সেবা দিতে গিয়ে প্রশাসন থেকে শুরু করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অনেকেই জীবন দিয়ে গেছে। আমাদের দল ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরাও সর্বক্ষণ সক্রিয় রয়েছে। তারাও জনগণের পাশে রয়েছে। করোনায় আমরাও আমাদের অনেক নেতা-কর্মীকে হারিয়েছি।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক পদকপ্রাপ্তদের হাতে পদক তুলে দেন। অনুষ্ঠানে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন সভাপতিত্ব করেন। সরকারের মন্ত্রিপরিষদ সচিবসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ও সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।

এ জাতীয় আরো সংবাদ