আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে প্রধান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কমপক্ষে পাঁচজন নিহত হয়েছেন। সোমবার (১৬ আগস্ট) বিমানবন্দরটির প্যাসেঞ্জার টার্মিনালে এই নিহতের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, আফগান রাজধানী ছেড়ে যাওয়া বিমানগুলোতে শত শত মানুষ জোর করে প্রবেশের সময় তারা নিহত হন।
যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, কাবুল বিমান বন্দরের প্যাসেঞ্জার টার্মিনালে সোমবার গুলিতে অন্তত তিনজন নিহত হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে সংবাদমধ্যমটি বলছে, তিনজনের রক্তাক্ত মরদেহ মাটিতে পড়ে থাকতে দেখেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
তবে কে বা কারা গুলি চালিয়েছে, তা উল্লেখ করা হয়নি ওই সংবাদে।
এদিকে অন্য এক প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে রয়টার্স বলছে, নিহত ৫ জনের মরদেহ একটি গাড়িতে তুলতে দেখেছেন তিনি। অন্য এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, নিহত ব্যক্তিরা কি গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন নাকি ভিড়ের মধ্যে পদদলিত হয়ে মারা গেছেন, তা এখনও নিশ্চিত নয়।
এর আগে কাবুল বিমানবন্দরে আফগানিস্তান ছাড়তে চাওয়া মানুষের ঢেউ উপচে পড়ার ফলে সৃষ্টি হওয়া চরম বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে মার্কিন সেনারা। সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, মার্কিন সেনারা এখন কাবুল বিমানবন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে।
বার্তাসংস্থা এএফপি জানায়, আফগানিস্তান ছাড়ার জন্য হাজার হাজার মানুষ বিমানবন্দরের একটি ফ্লাইটে ওঠার চেষ্টা করলে বাধ্য হয়ে ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে মার্কিন সেনারা।
এদিকে বিমানবন্দরে নিহতের ঘটনায় কর্মকর্তারা এখনও কোনো মন্তব্য করেনি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
সূত্র: রয়টার্স