আদালতে হাজিরা দিতে এসে চিত্রনায়িকা পরীমণি বলেছেন ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যখন আমার বাসায় অভিযান পরিচালনা করে, তখন সব ড্রয়ার ও আসবাবপত্র তছনছ করে ফেলে। এমনকি প্রেসক্রিপশনসহ আমার ওষুধের বক্সটা পর্যন্ত তারা নিয়ে যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার গাড়িসহ অন্যান্য জিনিসের কোন কাগজপত্র আমার কাছে নেই। বাসায় আমি ছাড়া আর আমার কোনো কিছুই নেই।’
বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) পরীমণির আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সৌরভী তার (পরীমণির) সাদা রঙের গাড়ি, মোবাইল, ল্যাপটপসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় জব্দ হওয়া জিনিসপত্র চেয়ে আদালতে আবেদন করেন। আবেদনের পর পরীমণি এসব কথা বলেন।
শুনানিতে পরীমণির আইনজীবী বলেন, আমরা আদালতে দুইটি আবেদন করেছি। একটি পরীমণির ব্যবহৃত সাদা গাড়িটি জিম্মায় নেওয়ার এবং আরেকটি হচ্ছে তার মোবাইল ল্যাপটপসহ জব্দ করা অন্যান্য জিনিসপত্রের। এগুলো পরীমণির নিজের ব্যবহৃত জিনিস। অভিযানের সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এগুলো জব্দ করে। সেজন্য আমাদের কাছে কোন ডকুমেন্ট নেই। যেহেতু তিনি একজন আলোচিত চিত্রনায়িকা। অন্ততপক্ষে গাড়িটি তার জিম্মায় দেওয়া হোক।
রাষ্ট্রপক্ষ আবেদনের বিরোধিতা করে বলেন, যেহেতু এই ডকুমেন্টগুলোর কোন কাগজপত্র নেই, তাই যাচাই-বাছাই করা সম্ভব না। তাদের আবেদন নামঞ্জুর করার দাবি জানাচ্ছি।
এরপর উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক তদন্ত কর্মকর্তাকে বিআরটিএ থেকে গাড়ির সঠিক মালিকানা যাচাই করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
আজ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দায়ের করা মামলায় আদালতে হাজিরা দিয়েছেন চিত্রনায়িকা পরীমণি। দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সত্যব্রত সিকদারের আদালতে তিনি হাজিরা দেন।
এদিন মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ ছিল। কিন্তু সংশ্লিষ্ট তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল করতে না পারায় বিচারক আগামী ১০ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন।