1. successrony@gmail.com : Mehedi Hasan Rony :
  2. arif_rashid@live.com : Arif Rashid : Arif Rashid
  3. meherunnesa3285@gmail.com : Meherun Nesa : Meherun Nesa
বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ০৪:০৪ অপরাহ্ন

দেশীয় প্রজাতির মাছ বিলুপ্তির পথে, মৎস্য সম্পদ রক্ষায় নেই কোন উদ্যোগ!

মোহাম্মদ রোমান হাওলাদার
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২১
  • ২৮৫ বার

বছর আগেও মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ছোট-বড় নদী-নালা, খাল-বিল, পুকুর-ডোবায় প্রচুর দেশীয় প্রজাতির মাছ পাওয়া যেতো। বর্তমানে দেশীয় প্রজাতির সেসব মাছ প্রায় বিলুপ্তর পথে। হাট বাজারে এখন আর পুঁটি, জাত টাকি, চিংড়ি, তিতপুঁটি, টেংরা, গোলশা, জিয়ল শিং, চান্দা, বাইম মাছ চোখে পরে না। বাজারে এখন হাইব্রিড মাছের ছড়াছড়ি। বিলুপ্ত প্রায় সেসব দেশীয় মাছের স্বাদ ভুলে যেতে শুরু করেছে মানুষ। এক শ্রেণীর অসাধূ জেলেরা কারেন্ট জালসহ মাছ ধরার আধুনিক ফাঁদ তৈরি করে মাছের বংশ নির্বংশ করার উৎসবে মেতে উঠেছে। উপেলার ১৪ টি ইউনিয়নে কারেন্টজালসহ মাছ ধরার বিভিন্ন আধুনিক ফাঁদ দিয়ে মাছ শিকার করতে লক্ষ করা গেছে। এমনকি সেসব ফাঁদে চুনো পুটিও আটকে যাচ্ছে। এতে করে দেশীয় প্রজাতির মাছ দিন দিন বিলুপ্তির দিকে ধাবিত হচ্ছে। এদিকে দেশীয় মৎস্য সম্পদ রক্ষায় মৎস্য সংশ্লিষ্টদের তৎপরতা নেই বললেই চলে। ফলে উপজেলার অসাধু জেলেরা দেশীয় মাছ নিধনের কর্মযজ্ঞ চালিয়েই যাচ্ছে। প্রায় সময় উপজেলার বিভিন্ন খাল সংলগ্ন সড়কে দেশীয় বিভিন্ন জাতের মাছ বড় হওয়ার আগেই ধরে বিক্রি করতে দেখা যায়। দেশীয় মাছ নিধন বন্ধে আইন থাকলেও আইনের প্রয়োগ নেই। অন্যদিকে উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে চলা ইছামতী নদী সংলগ্ন লতব্দীর চরসহ ইছামতি নদীতে আনুমানিক অর্ধশত অবৈধ বেসাল বসিয়ে নিয়মিত মৎস্য নিধনের কর্মযজ্ঞ চালাচ্ছে অসাধূ জেলেরা। উপজেলা সদর সংলগ্ন ইছামতী নদী ও লতব্দীর চরে দেশীয় মৎস্য নিধনের কর্মযজ্ঞ চললেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজর নেই বললেই চলে। বর্ষা মৌসূমসহ অন্যান সময় উপজেলা মৎস্য অফিসের উদ্যোগে সরকারী ভাবে নদীতে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা অবমুক্ত করা হলেও বছরের অন্যান্য মাসগুলোতে মৎস্য কর্মকর্তা ও মৎস্য অফিস সংশ্লিষ্ট কাউকেই মৎস্য সম্পদ রক্ষার্থে তেমন কোন কার্যক্রম পরিচালনা করতে লক্ষ করা যায় না।

ইছামতি নদী সংনগ্ন চোরমর্দ্দন গ্রামের রেজাউল করিম নামে এক যুবক বলেন, আগে নদীতে যে পরিমাণ দেশীয় মাছ পাওয়া যেতো বর্তমানে সে পরিমাণের এক ভাগ মাছও নদীতে নাই। মা বোনেরা থালা বাসন ধোয়ার সময় যে ভাত নদীর ঘাটে পরতো সেগুলো খেতে আসা অসংখ্য পুটি, টেংড়া দেখা যেতো। এখন নদীতে সারাদিন বর্শি পেতে বসে থাকলেও চুনো পুটিও পাওয়া যায় না। মৎস্য সম্পদ রক্ষায় সরকারকে আরো কঠোর হতে হবে এবং এ ব্যপারে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাদের আরো তৎপর হতে হবে।

এ ব্যপারে সিরাজদিখান উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আকতামুন লিন্নাছের মুঠোফোনে ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এ জাতীয় আরো সংবাদ