মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা’র ৭৫ তম জন্মদিন উপলক্ষে ৭৫ টি গাছ লাগান বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জুবায়ের আহমেদ সাব্বির।
বাংলাদেশের স্থপতি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের জ্যেষ্ঠ সন্তান শেখ হাসিনা ১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর গোপালগঞ্জের মধুমতী নদী তীরবর্তী প্রত্যন্ত গ্রাম টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তার ডাক নাম হাসু। দাদা শেখ লুত্ফর রহমান ও দাদি সাহেরা খাতুনের অতি আদরের নাতনি শেখ হাসিনার শৈশব-কৈশোর কেটেছে দাদা-দাদির কোলেপিঠে মধুমতী নদীর তীরে টুঙ্গিপাড়ায়।
পরবর্তীকালে তিনি যুক্তরাজ্যে চলে যান এবং ১৯৮০ সালে স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেন।
শেখ হাসিনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭৩ সালে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সরকারি ইন্টারমিডিয়েট গার্লস কলেজের ছাত্রসংসদের সহসভাপতি ছিলেন। তিনি এই কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং পরের বছর সভাপতি ছিলেন। শেখ হাসিনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের একজন সদস্য এবং ছাত্রলীগের রোকেয়া হল শাখার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ছাত্রজীবন থেকেই শেখ হাসিনা সব গণ-আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। শেখ হাসিনার প্রযুক্তি, রান্না, সংগীত এবং বই পড়ার প্রতি আগ্রহ রয়েছে।
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের সফল প্রধানমন্ত্রী। চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন শেখ হাসিনা। তার নেতৃত্বে অর্থনীতির প্রতিটি সূচকে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।শিল্প সংস্কৃতি ও সাহিত্যঅন্তপ্রাণ শেখ হাসিনা লেখালেখিও করেন। তার লেখা এবং সম্পাদিত গ্রন্থের সংখ্যা ৩০টিরও বেশি।
সন্ত্রাস ও জঙ্গি দমনেও তিনি বিশ্বনেতাদের প্রশংসা কুড়িয়েছেন। মিয়ানমারে জাতিগত সহিংসতায় পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা মুসলিমদের আশ্রয় দিয়ে সারা বিশ্বে হয়েছেন প্রশংসিত।
বাংলাদেশের মানুষ বঙ্গবন্ধুর ঋণ কোনদিন শোধ করতে পারবে না। জাতির পিতাকে হত্যাকারীদের বিচারের জন্য দেশের মানুষ কষ্ট নিয়ে অপেক্ষায় ছিল। অনেকেই ব্যথা নিয়ে বলেছেন, মৃত্যুর আগে যদি বঙ্গবন্ধুর খুনীদের বিচারটা দেখে যেতে পারতাম। বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশবাসীর সেই আকাক্সক্ষা পূরণ করেছেন। মহান জাতীয় সংসদে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের বাধা ইনডেমনিটি বিল বাতিল করে আইনের সাধারণ নিয়ম অনুযায়ী শেখ হাসিনা জাতির পিতার হত্যার বিচারের ব্যবস্থা করেছেন। জাতি কলঙ্কমুক্ত হয়েছে।
এ বছর ২৩ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণে দেশের ৪৯২টি উপজেলার প্রায় ৭০ হাজার পরিবারকে পাকা ঘরসহ বাড়ি হস্তান্তর করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মুজিববর্ষ উপলক্ষে আশ্রয়ন প্রকল্প-২ এর আওতায় প্রায় ৯ লাখ মানুষকে পুনর্বাসন প্রক্রিয়া চলছে। মুজিববর্ষ উপলক্ষে আশ্রয়ন প্রকল্প-২ এর আওতায় প্রায় ৯ লাখ মানুষকে পুনর্বাসন প্রক্রিয়া চলছে।
বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জুবায়ের আহমেদ সাব্বির বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদূরপ্রসারী চিন্তায় বাংলাদেশে আমূল পরিবর্তন সাধিত হচ্ছে। তার নেতৃত্বেই আকাশ এবং সমুদ্র বিজয় হয়েছে। শহর ও গ্রামের রাস্তার ব্যাপক উন্নয়ন দৃশ্যমান। বাণিজ্যিক রাজধানী বন্দর নগরী চট্টগ্রামেও নির্মিত হচ্ছে ফ্লাইওভার। চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বহুলেন বিশিষ্ট টানেল নির্মিত হচ্ছে তার নির্দেশনায়। এই টানেল নির্মাণ শেষ হলে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর পূর্বপ্রান্তে গড়ে উঠবে পর্যটন শহর।নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ এখন শেষ পর্যায়ে।মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, কর্ণফুলী টানেল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুত প্রকল্প, মহেশখালী-মাতারবাড়ী সমন্বিত উন্নয়ন প্রকল্পসহ বেশকিছু মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়ন, ১০০ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, দুই ডজনের বেশি হাইটেক পার্ক এবং আইটি ভিলেজ নির্মাণের বিপুল কর্মকান্ড দ্রুত এগিয়ে চলেছে প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন।
জাতিসংঘে তার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করা হয়েছে। এসডিজির যে অগ্রগতি তার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। এসব প্রাপ্তির মূল কারণ হচ্ছে, তিনি সবসময় দেশের মানুষের কল্যাণের জন্য নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। শেখ হাসিনার ওপরে ২১ থেকে ২২ বার সরাসরি হামলা করা হয়েছে। একটি ভয়াবহ হামলার সময় আমি তার সঙ্গে ছিলাম। তখন দেখেছি তার অদম্য সাহস। অকুতোভয় মানসিকতা। গোলাগুলির মধ্যেও তিনি ভয় পাননি। বুক চিতিয়ে দাঁড়াতে দেখেছি। এই অকুতোভয় মানসিকতাই শেখ হাসিনার শক্তি।
বঙ্গবন্ধুর মতো তিনিও সাদাসিধে মোহহীন জীবনযাপন করে দেশের উন্নয়নে অবিরত কাজ করে যাচ্ছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মের সফলতা ও স্বার্থকতা কর্মের মধ্য দিয়ে। তার জন্মদিন পালন না করলে আমরা জাতির কাছে অকৃতজ্ঞ থেকে যাব।