চলতি মাসের মধ্যে সব বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানতে চেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পূর্ণাঙ্গরূপে ক্লাস চালু করতে বিলম্ব কেন হচ্ছে? জবাবে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি প্রধানমন্ত্রীকে জানান, দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো চলে তাদের নিজস্ব আইনে, সেক্ষেত্রে তাদের একটা বিষয় আছে। তারপরও চলতি মাসের মধ্যে সবগুলো বিশ্ববিদ্যালয় খুলে যাবে বলে আশা করছি।
আজ সোমবার (৪ অক্টোবর) মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান সচিব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভা বৈঠকে অনুষ্ঠিত হয়। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী ও সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা বৈঠকে যোগ দেন।
সচিব বলেন, ‘একটা প্রাক্টিক্যাল প্রবলেম হলো হল ম্যানেজমেন্ট। হলগুলোর অবস্থা তো খুবই খারাপ। দুই বছর যেহেতু বন্ধ ছিল সুতরাং হলগুলো খুলে রিনোভেন্ট করে ছাত্র-ছাত্রীদের জিনিসপত্র বা বিছানাপত্র কতটুকু ব্যবহার উপযোগী আছে, সেগুলো দেখতে হবে। অ্যাপারেন্টলি মনে হচ্ছে যে, এটাই অন্যতম বড় একটা কারণ ইউনিভার্সিটিগুলো খুলতে।’
তিনি বলেন, ‘স্কুল-কলেজ তো আমরা খুলে দিয়েছি, পরীক্ষাও ডিক্লেয়ার করা হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী ইনশিওর করেছেন যে, পরীক্ষা নিতে কোনো অসুবিধা হবে না, যেগুলো অলরেডি ডিক্লেয়ার করা হয়েছে। যদি ম্যাসিভ কোনো ডিটুরেশন না হয়, এই সিনারিও কন্টিনিউ থাকলে বা স্ট্যাবল থাকলে ইনশাল্লাহ যেভাবে পরীক্ষা ডিক্লেয়ার করা হয়েছে, সেটা নিয়ে নেয়া হবে।’
সচিব আরও বলেন, শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, হলগুলোতে শিক্ষার্থীদের বইপত্র, চেয়ার-টেবিলও নষ্ট হয়েছে। সেগুলো রিপেয়ারসহ সবধরনের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে, চলতি মাসেই সব বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়া হবে। এছাড়া বড় কোনো বিপর্যয় না ঘটলে ঘোষিত তারিখ অনুযায়ী এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
প্রধানমন্ত্রী ১৮ বছরের কম বয়সীদের করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন দেয়ার বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন বলে জানান সচিব।