মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ছোট-বড় নদী-নালা, খাল-বিল, পুকুর-ডোবায় এক সময় প্রচুর দেশীয় প্রজাতির মাছ পাওয়া যেতো। বর্তমানে দেশীয় প্রজাতির সেসব মাছ প্রায় বিলুপ্তর পথে। হাট বাজারে এখন আর দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চোখে পরে না। বাজারে এখন হাইব্রিড মাছের ছড়াছড়ি। বিলুপ্ত প্রায় সেসব দেশীয় মাছের স্বাদ ভুলে যেতে শুরু করেছে মানুষ।
এক শ্রেণীর অসাধূ জেলেরা কারেন্ট জালসহ মাছ ধরার আধুনিক ফাঁদ তৈরি করে মাছের বংশ নির্বংশ করার উৎসবে মেতে উঠেছে। উপেলার ১৪ টি ইউনিয়নে কারেন্টজালসহ মাছ ধরার বিভিন্ন আধুনিক ফাঁদ দিয়ে মাছ শিকার করতে লক্ষ করা গেছে। এমনকি সেসব ফাঁদে চুনো পুটিও আটকে যাচ্ছে। এতে করে দেশীয় প্রজাতির মাছ দিন দিন বিলুপ্তির দিকে ধাবিত হচ্ছে। ধীরে ধীরে দেশীয় প্রজাতির মাছ বিলুপ্তির কারণ হিসেবে মৎস্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দায়ী করছেন স্থানীয়রা। উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তরের অপতৎপরতায় উপজেলার অসাধু জেলেরা দেশীয় মাছ নিধনের কর্মযজ্ঞ প্রতিনিয়তই চালিয়ে যাচ্ছে। এমনকি মৎস্য সম্পদ রক্ষায় উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাদের তেমন ভূমিকা নেই বললেই চলে। এদিকে মৎস্য নিধন বন্ধে আইন থাকলেও আইনের প্রয়োগ করার পাশাপাশি মৎস্য নিধন বন্ধে কোন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না।
বর্ষা মৌসূমের শেষের এই সময়টাতে ইছামতী নদীর দুপাশে সহস্রাধিক অবৈধ ভাবে ভেসাল ও ঘের তথা ঝোপ ফেলে মৎস্য নিধনের মহোৎসবে মেতেছে নদী সংলগ্ন গ্রাম সমূহের অসাধূ জেলেরা। উপজেলা সদর সংলগ্ন এ নদীতে অবৈধ ভাবে ঘের দিয়ে অসাধূ জেলেরা নির্বিঘ্নে মৎস্য নিধনের কর্মযজ্ঞ চালালেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজর নেই বললেই চলে। এমনকি অবৈধ ভেসাল ও ঘের উচ্ছেদের কোন উদ্যোন নেয় বললেই চলে। এসব অবৈধ ঘেরের কারণে মৎস্য সম্পদ দিন দিন হুমকির সম্মূক্ষিন হচ্ছে। বর্ষা মৌসূমসহ অন্যান সময় উপজেলা মৎস্য অফিসের উদ্যোগে সরকারী ভাবে নদীতে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা অবমুক্ত করা হলেও বছরের অন্যান্য মাসগুলোতে মৎস্য কর্মকর্তা ও মৎস্য অফিস সংশ্লিষ্ট কাউকেই মৎস্য সম্পদ রক্ষার্থে তেমন কোন কার্যক্রম পরিচালনা করতে লক্ষ করা যায় না। এ ব্যপারে সিরাজদিখান উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা যুধিষ্ঠির জানান, আমরা ইতো মধ্যে তিনটি অভিযান পরিচালনা করেছি। পর্যায়ক্রমে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে কথা বলে অভিযান পরিচালনা করা হবে। মৎস্য সম্পদ রক্ষায় আমাদের অভিযান অব্যহত থাকবে।