মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার বাসাইল ইউনিয়নের বাসাইল বাজার ব্রীজ থেকে গুয়াখোলা বাগবাড়ি কবরস্থান পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার রাস্তা সংস্কার কাজ বন্ধ রাখায় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে হাজারো মানুষের। রহস্যজনক কারণে মাসাধিক কালেরও অধিক সময় ধরে সংস্কার কাজ বন্ধ রেখে স্থানীয় লোকজনকে ভোগান্তির সম্মোক্ষীন হচ্ছে মর্মে অভিযোগ তোলেন স্থানীয়রা। তবে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্টরা বলছেন ভিন্ন কথা। তারা বলছেন, মানসম্মত ইট সল্পতার কারণে তারা কাজ বন্ধ রেখেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বাসাইল বাজার ব্রীজ থেকে গুয়াখোরা বাগবাড়ি কবরস্থান পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার রাস্তা দীর্ঘদিন যাতায়াতের অনুপযোগী হয়ে পরেছিলো। বাসাইল হয়ে গুয়াখোলা গ্রামসহ আশপাশের এলাকায় প্রবেশের বিকল্প কোন রাস্তা না থাকায় দীর্ঘদিন যাতায়াতে ভোগান্তি শিকার হওয়াসহ রাস্তাটি দিয়ে কৃষি পণ্য আনা নেওয়া করতে বেকায়দায় পরতে হয়েছে বাসাইল, গুয়াখোলা ও গ্রামসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামের হাজারো মানুষের। দীর্ঘদিন অবহেলিত পরে থাকার পর জণসাধারনের ভোগান্তির ইতি টানতে কয়েকমাস পূ্র্বে রাস্তাটির সংস্কার কাজ শুরু করা হলেও কাজ চলে আসছিলো কচ্ছপ গতিতে। ফলে সংস্কার কাজ চলাকালীন সময়েও মানুষের ভোগান্তি লাঘব হয়নি। সম্প্রতি তৃতীয় বারের মত রাস্তাটির সংস্কার কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। এছাড়া রাস্তাটি সংস্কার কাজে ব্যবহৃত ইট ও ইটের শুরকির মান নিয়েও যথেষ্ট প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় লোকজন। স্থানীয়দের অনেকের অভিযোগ সংস্কার কাজে নিম্ন মানের ইট ও ইটের শুরকি ব্যবহার করা হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাসাইল বাজার ব্রীজ থেকে গুয়াখোরা বাগবাড়ি কবরস্থান পর্যন্ত ইটের শুরকি বিছানোর কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। তবে রাস্তাটির গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট বাসাইল বাজার ব্রীজ থেকে বাসাইল উচ্চ বিদ্যালয় পর্যন্ত কোয়াটার কিলোমিটার রাস্তার সংস্কার অসমাপ্ত রেখে বন্ধ রাখা হয়েছে। ফলে কোয়াটার কিলোমিটার রাস্তাটি খানাখন্দে জর্জরিত হয়ে চলাচলে ভোগান্তিসহ ছোটখাটো দূর্ঘটনা প্রায় প্রতিনিতই ঘটছে। এদিকে সংস্কার কাজ শুরুর পর থেকে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে স্থানীয়রা নিম্ন মানের ইট ও ইটের শুরকি ব্যবহারের অভিযোগ তুললেও বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কেউই খতিয়ে দেখেন নি মর্মে এলাকাবাসীর সাংবাদিকদের কাছে মৌখিক অভিযোগ করেন।
উপজেলা (এলজিইডি) প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, রাস্তাটি সংস্কারের জন্য প্রায় দেড় কোটি টাকা বরাদ্দ দেয় স্থানীয় সরকার (এলজিইডি) প্রকৌশল অধিদপ্তর। আর এই কাজটি সম্পন্ন করার দায়িত্ব পায় মেসার্স এস.সরকার এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক যুবক বলেন, কদিন পর তারা কাজ বন্ধ রাখে। বৃষ্টির দিনে রাস্তার মাটি কাদা হয়ে যাওয়ায় চলাচল করতে আমার অসুবিধা হয়েছে। রাস্তার দুপাশে নতুন ইট লাগাতে দেখেছি। কিন্তু মাঝখানে নতুন ইটের শুরকি বিছাতে দেখি নাই। সব পুরান ইটের শুরকি বিছানো হইছে। আমাদের একটাই দাবী রাস্তাটি অতি দ্রুত সংস্কার কাজ সম্পন্ন করা হোক। এ ব্যপারে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স এস.সরকার এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধীকারীর মোঃ রন্টু বলেন, কাজের ইট নাই। খোলায় যেই ইট আছে সেগুলোর মান ভালো না। তাই কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। খোলা থেকে নতুন ইট নামলে কাজ চালু করা হবে।