মুন্সিগঞ্জের টংগীবাড়ীতে বর পক্ষের লোকজনের হামলায় কনের চাচা, ফুপুসহ ৩ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গত শুক্রবার উপজেলার আউটশাহী ইউনিয়নের কাইচাল গ্রামে বর ফয়সালের (২৯) বিয়ে বাড়ীতে এ ঘটনা ঘটে। এ ব্যপারে টংগীবাড়ী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার সিরাজদিখান উপজেলার মধ্যপাড়া ইউনিয়নের তেলিপাড়া গ্রামের ফারুক শেখের মেয়ে রিয়া আক্তারের (১৯) সাথে টংগীবাড়ী উপজেলার কাইচাইল গ্রামের ফিলিপাইন প্রবাসী মোঃ হবির ছেলে ফয়সালের সাথে ইসলামী সরিয়ত মোতাবেক বিয়ে সম্পন্ন হয়। পরদিন শুক্রবার কনে পক্ষের লোকজন (৫০ জন) কনেকে আনতে বরের বাড়ীতে যায়। কনে পক্ষের লোকজনকে দুই ঘন্টা বসিয়ে রেখে খাবার না দেওয়াসহ কনে পক্ষের লোকজনের বিরুদ্ধে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য ও তুচ্ছতাচ্ছিল্য আচরণ করায় কনের চাচা ও ফুপুসহ কয়েকজন বর পক্ষের লোকজনের কথার জবাব দিলে তাদের সাথে বর পক্ষের লোকজনের সাথে বাকবিত্ত্বন্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
এক পর্যায়ে বর পক্ষের লোকজন কনে পক্ষের লোকজনের উপর হামলা চালায়। এতে কনের বেয়াই আমিন (২৫) গুরুতর আহতসহ চাচা খোকন (৪২) ও ফুপু নাসিমা (৬২) আহত হয়। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। গুরুতর আহত আমিনকে টংগীবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়েছে এবং বাকীদের স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। কনে রিয়া আক্তারের ভাই মোঃ সাগর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মুঠোফোনে জানান, তারা পরিকল্পিত ভাবে আমাদের উপর হামলা করেছে। তারা আমার চাচা ফুপু ও এক বেয়াইসহ ছোট ছোট বাচ্চাদেরও মারধর করেছে। আমরা ব্যপারে থানায় যাবো। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কনের এক চাচাত ভাই বলেন, আসলে এ ধরনের ঘটনা ঘটে যাবে আমরা ভাবতে পারিনি। সে সময় তাদের আচরণ এতটাই খারাপ ছিলো যে, তারা আমাদের সাথে যাওয়া ছোট ছোট বাচ্চাদেরও পিটিয়েছে। মধ্যপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মিজানুর রহমান জানান, আসলে মানুষ বর্বর না হলে এরকম করতে পারে না। প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, মেয়েটার সংসারের কথা চিন্তা করে থানা পুলিশের ঝামেলায় আপাতত যেতে চাচ্ছি না। এ ব্যপারে বর ফয়সালের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য পাওয়া যায়নি।