অস্ট্রেলিয়ায় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী এবং ছুটিতে যাওয়া কর্মজীবীদের প্রবেশে আরও উৎসাহিত করতে ভিসা আবেদনের ফি কমিয়ে দেওয়া হবে।
আজ বুধবার অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন এ ঘোষণা দিয়েছেন।
ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পরায় অস্ট্রেলিয়ায় যে শ্রমশক্তির ঘাটতি হয়েছে তা পূরণে সহায়তা করার জন্য প্রধানমন্ত্রী এ ঘোষণা দেন।
ফেডারেল কোষাধ্যক্ষ জোশ ফ্রাইডেনবার্গ বলেছেন, ‘সরকার আনুমানিক ১ লাখ ৭৫ হাজার বিদেশি শিক্ষার্থী এবং ছুটিতে যাওয়া কর্মজীবীদের অস্ট্রেলিয়ায় প্রবেশে প্রলুব্ধ করতে চায়। এই প্রকল্পের জন্য সরকারের ৫৫ মিলিয়ন ডলার খরচ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।’
কোষাধ্যক্ষ আশা করছেন, ভিসা ফি এ পরিবর্তন আনায় চলমান কর্মশক্তির ঘাটতি মোকাবিলায় বড় পার্থক্য আনবে।
ফেডারেল সরকার গত সপ্তাহে ঘোষণা করেছে, যেসব খাতে কর্মশক্তির ঘাটতি আছে সেখানে বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতি সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা কাজের বাধ্যবাধকতা সরিয়ে ফেলা হবে।
২০২০ সালের এপ্রিলে স্কট মরিসন আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীসহ অস্থায়ী ভিসাধারীদের নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার কথা বলেছিলেন এবং কোভিড-১৯ সংক্রমণ দ্রুত বৃদ্ধির ফলে হাজারো মানুষকে ভাইরাসের কারণে কাজ বন্ধ করতে বাধ্য করা হয়েছিল। এর ফলে দেশটিতে শ্রমশক্তির ঘাটতি দেখা দেয়।
২০২০ সালের মার্চে মহামারির ভয়ঙ্কর প্রতিক্রিয়ায় অস্ট্রেলিয়ার আন্তর্জাতিক সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়। দেশটিতে শ্রমশক্তি প্রকট হয়ে উঠলে গত ১৫ ডিসেম্বরে অস্ট্রেলিয়ার সীমানা শুধুমাত্র আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী এবং কর্মরত ছুটির ভিসাধারীদের জন্য পুনরায় খোলা হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ায় বর্তমানে প্রায় ৩ লাখ ২৫ হাজার বিদেশি শিক্ষার্থী রয়েছে। তাদের মধ্যে প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার শিক্ষার্থী মহামারিতে অস্ট্রেলিয়ার বাইরে আটকে আছে।
আকিদুল ইসলাম: অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী লেখক, সাংবাদিক