গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ও শান্তিতে নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়েছে। বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) ড. ইউনূসের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) সংস্থাটির এ সংক্রান্ত চিঠি বিভিন্ন ব্যাংকে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি ক্রেডিট কার্ডের লেনদেনের তথ্য চেয়েও সব ব্যাংকের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে বিএফআইইউ। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
উল্লেখ্য, এর আগেও একবার ড. ইউনূসের ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়েছিল। ২০১৬ সালে ড. ইউনূস ও তার পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাবের তথ্য নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
চিঠিতে ব্যাংকগুলোকে গ্রামীণ ব্যাংকের সাবেক এই ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) সব ধরনের লেনদেনের বিস্তারিত বিবরণ বিএফআইইউর কাছে পাঠাতে বলা হয়। তাতে উল্লেখ করা হয়েছে, যেসব ব্যাংকে তার ব্যাংক হিসাব রয়েছে, সেসব ব্যাংক এ সংক্রান্ত তথ্যের সফট কপি পাঠাতে হবে। আর যেসব ব্যাংকে হিসাব নেই, সেসব ব্যাংক ‘আমরা কোনো হিসাব সংরক্ষণ করি না’ লিখে বিএফআইইউকে বিষয়টি নিশ্চিত করবে।
১৯৮৩ সালে গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠার সময় থেকেই ব্যাংকটিতে এমডির দায়িত্ব পালন করেন ড. ইউনূস। ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রমে গ্রামীণ মানুষের জীবনমান উন্নয়নে ২০০৬ সালে গ্রামীণ ব্যাংকের সঙ্গে যৌথভাবে শান্তিতে নোবেল পান ইউনূস। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে তিনি নোবেল পান। এরপর বিভিন্ন কারণে সরকার তাকে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ থেকে অব্যাহতি দেয়। মুহাম্মদ ইউনূসকে অব্যাহতি দেওয়ার আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করা হলে ২০১১ সালের ৮ মার্চ তা খারিজ করে দেন হাইকোর্ট।