এমনিতেই আইজউদ্দীন কিন্তু খুবই স্বভাব কৃপণ লোক। পিঁপড়ের পেট টিপে টিপে কৃপণ যেমন মধু বের করে নেয় তারও তেমন ঝোঁক অর্থ কামানো । আরেকদিকে হাত দিয়ে তার সহজে একটি আধলাও
যতই পড়বে ততই শিখবে এ বাক্যটি সত্য অর্থাৎ শিখতে হলে অবশ্যই পড়তে হবে। কারণ জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি যেখানে আড়ষ্ট, মুক্তি সেখানে অসম্ভব। একবিংশ শতাব্দির বিশ্বে আমাদের টিকে থাকতে হলে
মোক্তার সাহেবের দপ্তরে ঢোকার কিছুকাল পরে একটা কেসে জনৈক এক ভারতীয় মুসলমানের সঙ্গে আইজউদ্দীনের পরিচয় ও সখ্যতা ঘটে। ব্যাক্তিটির নাম জনাব লুৎফর রহমান। যে সময়ের কথা হচ্ছে, তখন উভয় দেশের সীমান্ত
প্রেমার পিতা জনাব আইজউদ্দীন পেশায় মুহুরী ছিল । প্রাথমিক অবস্থায় সে ছিল নীচু অঞ্চলের চাষী গেরস্হ ঘরের ছেলে । সারা বছর জমি ক্ষেত ডুবে থাকে গলাপানিতে। অজন্মার সাথে অভাব তাদের
হেমন্তের গোধূলি লগ্ন। শীত সমাগত। একদিন হঠাৎই প্রেমার ভয়ানক সব নেশা করার খবর উড়োউড়ো শুনল বাঁধন। প্রেমার অন্য অনেক ব্যাপারের মতো এ বিষয়টাও বাঁধনের কাছে ঘোর অশ্পষ্ট। সে চোখে দেখেনি
রৌদ্র বিধৌত ঝলমলে একদিন। ভরদুপুর বেলা। জুতোর দোকানে বড়ো আকস্মিক ভাবে প্রেমার সঙ্গে বাঁধনের প্রথম পরিচয়। জুতা ক্রয়ের জন্য সপরিবারে প্রেমারা এলো দোকানে। নিজেদের জন্য অনেক টাকার বিভিন্ন ধরনের জুতো