বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫, ০১:৩০ অপরাহ্ন
ইসরায়েলে অবস্থান করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং তার সিনিয়র উপদেষ্টা ও বিসনেস আইকন ইলন মাস্ককে হত্যার হুমকি দিয়েছেন এক আমেরিকার নাগরিক।
২৮ বছর বয়সী জোসেফ নিউমেয়ার তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে কয়েক মাস ধরে এ হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন বিচারকরা। হত্যার হুমকির পাশাপাশি ইসরায়েলে অবস্থিত তেল আবিবের আমেরিকান দূতাবাসের একটি শাখা অফিসেও আগুন ধরানোর চেষ্টা করেছেন ।
নিউ ইয়র্ক সিটির ব্রুকলিনের ফেডারেল বিচারকরা স্থানীয় সময় রোববার (২৬ মে) এসব তথ্য জানিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে নিউ ইয়র্ক ডেইলি নিউজ নামের একটি সংবাদমাধ্যম।
সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে থেকে জানা যায়, অভিযুক্ত তরুণের স্ট্যাটাসগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘আমরা ট্রাম্প ও মাস্ককে এখনই হত্যা করতে যাচ্ছি’, ‘ট্রাম্পের মৃত্যু, আমেরিকার মৃত্যু’ এবং ‘পদত্যাগের জন্য প্রেসিডেন্টের হাতে কয়েক ঘণ্টা আছে অথবা মৃত্যু নিশ্চিত’।
গত ১৯ মে আমেরিকান দূতাবাসে আগুন ধরানোর আহ্বান জানিয়ে নিউমেয়ার বলেন, ‘এই বিকেলে তেল আবিবে আমার সঙ্গে যোগ দিন। আমরা আমেরিকান দূতাবাস জ্বালিয়ে দিতে যাচ্ছি।’
ওই দিন তেল আবিবে আমেরিকান দূতাবাসের শাখা অফিস এলাকায় দেখা যায় নিউমেয়ারকে, তবে দূতাবাসের কর্মীদের প্রবেশপথের প্রায় দুই মিটার দূরে এ তরুণকে আটকে দেন একজন নিরাপত্তারক্ষী।
ওই সময় নিরাপত্তারক্ষী কাঁধ চেপে ধরার চেষ্টা করলে ইংরেজিতে ‘এফ- ইউ’ বলে নিরাপত্তারক্ষীকে থুতু দিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন নিউমেয়ার।
এ ঘটনার বিষয়ে ফৌজদারি অভিযোগে বলা হয়, নিরাপত্তারক্ষী কাঁধের ব্যাগ টেনে ধরলে ব্যাগ ফেলে দৌড় দেন নিউমেয়ার। সে ব্যাগে তিনটি মলোটভ ককটেল পান নিরাপত্তারক্ষীরা।
আমেরিকার দূতাবাসের সামনে থেকে পালাতে পারলেও শেষ রক্ষা হয়নি দেশটির নাগরিকের। ইসরায়েলি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দূতাবাসের কাছাকাছি একটি হোটেলের কক্ষ থেকে তাকে গ্রেফতার করে।
বিচারকরা জানান, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে নিরাপত্তারক্ষীর ওপর হামলার পাশাপাশি কাঁধ ব্যাগে মলোটভ ককটেলের বোতল রাখার কথা স্বীকার করেছেন নিউমেয়ার।
ইসরায়েল এরই মধ্যে এ তরুণকে আমেরিকায় পাঠিয়ে দিয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি থেকে জন এফ. কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামেন নিউমেয়ার। বিমানবন্দরটি নিউ ইয়র্কের ইস্টার্ন ডিস্ট্রিক্টে পড়ায় নিয়ম অনুযায়ী ব্রুকলিনের ফেডারেল বিচারকরা তার মামলাটির দায়িত্বে রয়েছেন।
নিউমেয়ারের বিরুদ্ধে আমেরিকান সম্পত্তি ধ্বংস করতে আগুন বা বিস্ফোরক দ্রব্য ব্যবহারের চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে।
এ অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হলে তার পাঁচ থেকে ২০ বছরের সাজা হতে পারে।
