চলতি মাসে ভাসানচর পরিদর্শনে যাবে জাতিসংঘের একটি বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধি দল। রোহিঙ্গাদের বসবাসের জন্য দ্বীপটি কতটা উপযোগী তা দেখতে যাবে প্রতিনিধি দলটি।
সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব মো. শহিদুল ইসলাম।
তিনি বলেন, জাতিসংঘের প্রতিনিধিদলটি সেখানে কিছু বিষয় নিশ্চিত করতে চায়। ওই বিষয়গুলোর সুরাহার পর রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরের প্রক্রিয়া শুরু হবে।
সচিব বলেন, সরকার কক্সবাজারের শিবিরে চাপ কমিয়ে আনতে অন্তত এক লাখ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে। এরই মধ্যে সরকার প্রায় ২ হাজার ৩৫০ কোটি টাকা খরচ করে রোহিঙ্গাদের জন্য ভাসানচরকে প্রস্তুত করেছে। তবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ওই দ্বীপটিতে রোহিঙ্গাদের সরিয়ে নেয়ার বিষয়ে নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
শহীদুল হক বলেন, জাতিসংঘ বেশ কিছুদিন ধরেই বাংলাদেশের সঙ্গে রোহিঙ্গাদের পুর্নবাসনের বিষয়ে কাজ করছে। চলতি মাসের মধ্যে প্রতিনিধি দলটি চরটি পরিদর্শনে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গাম্বিয়ার মামলার ক্ষেত্রে আইনি পরামর্শক সংস্থার মতামত নেওয়া হয়েছে কি না সাংবাদিকরা জানতে চাইলে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, রোহিঙ্গারা যে চলে এসে কেন যাচ্ছে না, সেটা দেখতে হবে। পাশাপাশি তাদের ওপর নৃশংসতার জবাবদিহি ও বিচারের বিষয়গুলোও দেখতে হবে। গত সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জবাবদিহি ও বিচার নিশ্চিত হলে এরা নিজের দেশে ফিরে যাবে। না হলে বারবারই বাংলাদেশে আসবে। এর সম্ভাব্য মূল কারণ হতে পারে মিয়ানমারের জবাবদিহি আর বিচারের বিষয়টির সুরাহা হয়নি। রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্বের বিষয়টির সুরাহা হয়নি।