বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সর্বশেষ স্বাস্থ্যগত অবস্থা জানাতে রিপোর্ট জমা না দেওয়ায় তার জামিন শুনানি পিছিয়ে আগামী বৃহস্পতিবার ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির বেঞ্চ আজ বৃহস্পতিবার এই আদেশ দেন।
স্বাস্থ্যগত রিপোর্ট জমা দেওয়ার সময় চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার নতুন এ তারিখ ধার্য করা হয়েছে। এদিন খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যগত অবস্থা জানাতে রিপোর্ট জমা দিতেও বলেছেন আপিল বিভাগ।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের প্রতিবেদনটি বিএসএমএমইউর উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়ার মাধ্যমে সর্বোচ্চ আদালতে যাওয়ার কথা ছিল। এ বিষয়ে গতকাল উপাচার্য আমাদের সময়কে বলেন, ‘আদালতের নির্দেশনা অনুসারে মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে জানতে পর্যালোচনা সভা করেন। কিন্তু আমার কাছে বোর্ড এখনো প্রতিবেদন দেয়নি। ফলে বৃহস্পতিবার আদালতে প্রতিবেদন দেওয়া যাচ্ছে না। প্রতিবেদনটি দাখিলে আরও কয়েকদিন সময় লাগতে পারে।’
এর আগে গত ২৮ নভেম্বর খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের শুনানির দিন ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন জামিন শুনানি পিছিয়ে খালেদা জিয়ার মেডিকেল রিপোর্ট ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ। বিএসএমএমইউতে খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় নিয়োজিত বোর্ডকে এই আদেশ দেওয়া হয়েছিল। পাশাপাশি একই দিন জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত খালেদা জিয়ার শুনানির দিন ধার্য করা হয়। তবে নির্ধারিত সময়ে খালেদা জিয়ার মেডিকেল রিপোর্ট তৈরি না হওয়ায় তা আদালতে দাখিল করা হয়নি।
গত বছরের ২৯ অক্টোবর পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রশাসনিক ভবনের সাত নম্বর কক্ষে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক মো. আখতারুজ্জামান জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। একই সঙ্গে তাকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একই সাজা হয়েছে মামলার অপর তিন আসামিরও।
খালেদা জিয়ার পাশাপাশি দণ্ডপ্রাপ্ত অপর তিন আসামি হলেন-সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার তৎকালীন রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের সদ্য প্রয়াত সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।
গত বছরের ১৮ নভেম্বর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এর বিরুদ্ধে আপিল করা হয়। পরে গত ৩০ এপ্রিল জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাত বছরের দণ্ডের বিরুদ্ধে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে অর্থদণ্ড স্থগিত এবং সম্পত্তি জব্দ করার ওপর স্থিতাবস্থা দিয়ে দুই মাসের মধ্যে ওই মামলার নথি তলব করেছিলেন।
এরপর ২০ জুন বিচারিক আদালত থেকে মামলার নথি হাইকোর্টে পাঠানো হয়। ৩১ জুলাই বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এসএম কুদ্দুস জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ তার জামিন