মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার সৌদি আরব। এই দেশটিতে বাংলাদেশের প্রায় ১৮ লাখ বাংলাদেশি বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত রয়েছেন। তাদের দীর্ঘদিনের দাবি, সৌদি আরবের মাটিতে বাংলাদেশিদের জন্য একটি ব্যাংক স্থাপন করা। অবশেষে সেই স্বপ্ন পূরণ হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড এর সহকারী ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী তৌহিদুল আলম।
তিনি বলেন, ‘সৌদি আরবে আমরা প্রথম বাংলাদেশি বেসরকারি ব্যাংক প্রতিষ্ঠার জন্য আবেদন করেছি। সব কিছু ঠিক থাকলে আমরা খুব শিগগিরই একটি ব্যাংকের শাখা উদ্বোধন করতে পারব বলে আশা করছি।’
এর আগে, গতকাল ২০ ডিসেম্বর বাংলাদেশের বিনিয়োগের উজ্জ্বল সম্ভাবনা নিয়ে সৌদি আরবের জেদ্দায় শেষ হয়েছে তিনদিন ব্যাপী আন্তর্জাতিক ট্রেড ফেয়ার ২০১৯। গত ১৮ ডিসেম্বর মেলার উদ্বোধন করেন সৌদি আরবের জেদ্দা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির এর সহ-সভাপতি এইচ ই খালেফ আল ওতাইবী।
এবারের মেলায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশের মোট ৩২টি স্টল অংশগ্রহণ করেছে। বাংলাদেশের প্যাভিলিয়নের ৩২টি স্টলই সাজানো হয়েছে- দেশীয় তৈরি পোশাক, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড, এক্সিম ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড, বেঙ্গল প্লাস্টিক পণ্য ও বিভিন্ন রপ্তানিমুখী পণ্য দিয়ে।
বাংলাদেশের প্রায় সবগুলো স্টল ঘুরে দেখা যায়, তৈরি পোশাকের আধিক্যের পাশাপাশি প্লাস্টিক সামগ্রী ও বাংলাদেশের বেশ কিছু ব্যাংক। তবে দেশের প্রধান বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী তৈরি পোশাক শিল্পের নিট ও প্লাস্টিকের তৈরি সামগ্রীর ব্যাপক সাড়া মিলেছে বলে জানান দেশের ব্যবসায়ীরা।
অন্যদিকে, তৈরি পোশাক রপ্তানিতে সৌদি আরবে এগিয়ে থাকা ফারজানা ফ্যাশন ওয়াল্ড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ সেলিমের মতে, ‘সৌদি আরবে বাংলাদেশি তৈরি পোশাকের চাহিদা রয়েছে অনেক, আমরা এই মার্কেটে প্রতিবছর দুই লাখ মার্কিন ডলারের মতো রপ্তানি করছি, আমাদের মেলায় আশার উদ্দেশ্যে হলো এই রপ্তানি আরও বৃদ্ধি করা।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের পণ্যের প্রতি সৌদি আরবের ক্রেতাদের আগ্রহ অনেক আগে থেকেই। আর সাড়াও পাচ্ছি ব্যাপক। বিশেষ করে শিশু থেকে শুরু করে সবসয়সী ভোক্তাদের নিট এবং বিভিন্ন ধরনের পোশাক চাহিদা পূরণে আমার প্রতিষ্ঠান বদ্ধপরিকর।’
এ সময় মেলায় বাংলাদেশি প্যাভিলিয়নের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেদ্দাস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটের নবনিযুক্ত কনসাল জেনারেল ফয়সাল আহমেদ, রিয়াদ বাংলাদেশ দূতাবাসের ইকোনমিক মিনিস্টার আবুল হাসানসহ আরও অনেকে।