1. successrony@gmail.com : Mehedi Hasan Rony :
  2. arif_rashid@live.com : Arif Rashid : Arif Rashid
  3. meherunnesa3285@gmail.com : Meherun Nesa : Meherun Nesa
শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:৪৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
চার দিনের সফরে চীনের পথে প্রধানমন্ত্রী বাকেরগঞ্জে সাংবাদিককে প্রাণনাশের হুমকি দিলেন আ’লীগ নেত্রী রাফির উপহার পেয়ে আবেগাপ্লুত তমা ক্ষুধা মেটেনি রিয়াল সভাপতির, নজর ১৬তম শিরোপায় আমরা দ্বিতীয় স্যাটেলাইটের প্রস্তুতি নিচ্ছি : প্রধানমন্ত্রী পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ত্রাণ বিতরণ করলেন প্রধানমন্ত্রী মাহিকে দুটি গাড়ি ও ফ্ল্যাট দিয়েছিলেন আজিজ এমপি আনারের বিষয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ৬ মাসে ১ দিন কিংবা সাপ্তাহে ১ দিন নয়,২৪ ঘন্টা আমি আপনাদের সেবায় নিয়োজিত থাকতে চাই-মঈনুল হাসান নাহিদ! সিরাজদিখানে ভাইস-চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী রফিকুল ইসলাম বাবুল এর ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়

সোলেইমানি হত্যার বদলা নিতে কতটা সক্ষম ইরান?

দিনলিপি নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ৪ জানুয়ারী, ২০২০
  • ৫৬৫ বার

বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মার্কিন ড্রোন হামলায় ইরানের সবচেয়ে শক্তিশালী জেনারেল কাসেম সোলেইমানিকে হত্যার প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে তেহরান। দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি বলেছেন, যারা এই হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী, সেই সব অপরাধীদের জন্য কঠিন প্রতিশোধ অপেক্ষা করছে।

কিন্তু বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী মার্কিন সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার সক্ষমতা আছে কি ইরানের? এমন প্রশ্নের সম্মুখীন যখন গোটা বিশ্ব তখন ইরানের সামরিক বাহিনীর সক্ষমতা নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিবিসি।

ইরানের সশস্ত্র বাহিনী কত বড়?

যুক্তরাজ্যভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের মতে প্রায় ৫ লাখ ২৩ হাজার সক্রিয় সদস্য রয়েছে ইরান সামরিক বাহিনীর বিভিন্ন স্তরে। এর মধ্যে ৩ লাখ ৫০ হাজার নিয়মিত সেনা এছাড়া কমপক্ষে এক লাখ ৫০ হাজার ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) সেনা রয়েছে।

এছাড়া আরও ২০ হাজার আইআরজিসির সেনা কাজ করে নৌ বাহিনীতে। এই সদস্যরা হরমুজ প্রণালিসহ আশপাশের জলভাগকে সুরক্ষিত রাখতে কাজ করে। আজ থেকে ৪০ বছর আগে ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড প্রতিষ্ঠা করা হয় ইরানের ইসলামিক ব্যবস্থাকে সুসংহত করতে। ধীরে ধীরে এটি দেশটির সামরিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে প্রভাবশালী হয়ে ওঠে।

দেশের বাইরে অভিযান?

ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ডের শাখা কুদস ফোর্সের প্রধান ছিলেন কাশেম সোলেইমানি। বলা হয়ে থাকে, সিরিয়া ও ইরাক যুদ্ধের গতিপ্রকৃতি তিনি বদলে দিয়েছেন। লেবাননে হিজবুল্লাহ ও ফিলিস্তিনে জিহাদিদের অবস্থানকে শক্তিশালী করতে কাজ করেছেন তিনি। তিনি তার কাজের জন্য কেবল সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির কাছে দায়বদ্ধ ছিলেন।

ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ডের একটি ইউনিট সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের জন্য কাজ করে। তাদের পক্ষে লড়তে শিয়া যোদ্ধাদের অস্ত্র দিয়ে সহায়তা করে তারা। ইরাকে আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে লড়তে শিয়া নিয়ন্ত্রিত আধা-সামরিক বাহিনীকে সহায়তা করা হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্র বলছে, ওয়াশিংটন মধ্যপ্রাচ্যে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে দেখে এমন সংগঠনগুলোকে কুদস বাহিনী অর্থ, প্রশিক্ষণ, অস্ত্র ও সমর সরঞ্জাম দিয়ে সহায়তা করে। লেবাননের হিজবুল্লাহ ও ফিলিস্তিনের ইসলামিক জিহাদ এই তালিকার অন্যতম।

অর্থনৈতিক সংকট ও নিষেধাজ্ঞার কারণে ইরানের অস্ত্র আমদানি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে ওই অঞ্চলের অন্য দেশগুলোর তুলনায় তাদের অস্ত্র আমদানির সংখ্যা অনেক কম। স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের তথ্য মতে, ২০০৯ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে সৌদি আরব যত অস্ত্র আমদানি করেছে, ইরানের অস্ত্র আমদানির পরিমাণ তার মাত্র ৩ দশমিক ৫ শতাংশ। ইরান অস্ত্র আমদানি করে মূলত রাশিয়া ও চীন থেকে।

ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র আছে?

ক্ষেপণাস্ত্র সক্ষমতা দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগের মতে দেশটির ক্ষেপণাস্ত্র শক্তি মধ্য প্রাচ্যে সবচেয়ে বড় বিশেষ করে স্বল্প পাল্লা আর মাঝারি পাল্লার। তারা আরও বলছে, ইরান স্পেস টেকনোলজি নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করছে যাতে করে আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করা যায়।

তবে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি ইরান স্থগিত করেছিল ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তির পর, বলছে রয়্যাল ইউনাইটেড সার্ভিস ইনস্টিটিউট। তবে তারা এও বলছে যে, এটি আবার শুরু হয়ে যেতে পারে ওই চুক্তির অনিশ্চয়তার কারণে। অনেক ক্ষেত্রেই সৌদি আরব ও উপসাগরীয় এলাকার অনেক টার্গেট ইরানের স্বল্প বা মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের আওতাতেই আছে, বিশেষ করে ইসরায়েলে সম্ভাব্য লক্ষ্যবস্তুগুলো।

এছাড়া আরও প্রমাণ আছে যে তেহরানের আঞ্চলিক মিত্ররাও ইরানের সরবরাহ করা ক্ষেপণাস্ত্র ও গাইডেন্স সিস্টেম ব্যবহার করে বিশেষ করে সৌদি আরব, ইসরায়েল ও আরব আমিরাতের টার্গেটগুলোর ক্ষেত্রে। গত বছর মে মাসে যুক্তরাষ্ট্র প্যাট্রিয়ট অ্যান্টি মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম মোতায়েন করে মধ্যপ্রাচ্যে যা ইরানের সাথে উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দেয়। এর মানে হলো পাল্টা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, ক্রুজ মিসাইল ও অগ্রবর্তী এয়ারক্রাফট।

অপ্রচলিত অস্ত্রের সম্ভার

কয়েক বছরের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ইরান তার ড্রোন সক্ষমতা বাড়িয়ে নিয়েছে। ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ২০১৬ সাল থেকেই ইরাকে ড্রোন ব্যবহার করে ইরান। ২০১৯ সালের জুনে যুক্তরাষ্ট্রের একটি ড্রোনকে ভূপাতিত করে তারা এই অভিযোগে যে ড্রোনটি ইরানের আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছে। এর বাইরে তারা ড্রোন প্রযুক্তি তাদের মিত্রদের কাছেও স্থানান্তর বা বিক্রিও করেছে।

২০১৯ সালেই ড্রোন ও ক্ষেপনাস্ত্র আঘাত হেনেছিল সৌদি তেল ক্ষেত্রে। সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্র এজন্য ইরানকেই দায়ী করেছিল। যদিও তেহরান এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। বরং তারা ইয়েমেনের বিদ্রোহীদের দায় স্বীকারের দিকে ইঙ্গিত করেছে।

ইরানের সাইবার সক্ষমতা আছে?

২০১০ সালে ইরানের পরমাণু কর্মসূচির ওপর বড় ধরণের সাইবার অ্যাটাকের পর তারা সাইবার স্পেস সক্ষমতায় জোর দেয়। আইআরজিসিরি নিজস্ব সাইবার কমান্ড আছে বলে মনে করা হয়। যুক্তরাষ্ট্র ২০১৯ সালের এক রিপোর্টে বলেছে, ইরান অ্যারোস্পেস কোম্পানি, প্রতিরক্ষা ঠিকাদার, এনার্জি ও ন্যাচারাল রিসোর্সেস কোম্পানি ও টেলিকম ফার্মগুলোকে তাদের বিশ্বব্যাপী সাইবার অপারেশনের কাজে টার্গেট করেছে।

২০১৯ সালে মাইক্রোসফট বলেছে, ইরানভিত্তিক একটি হ্যাকার গ্রুপ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণাকে টার্গেট করেছিল ও তারা আমেরিকা সরকারের অ্যাকাউন্টগুলোর নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করেছিল।

পারমাণবিক শক্তি?

ইরান বরাবরই দাবি করে এসেছে যে তাদের কোনো পারমাণবিক অস্ত্র নেই। পারমাণবিক অস্ত্র ইসলাম সম্মত নয় বলে জানিয়েছিলেন দেশটির সর্বোচ্চ নেতা খামেনি। যার কারণে তারা পারমাণবিক শক্তি বৃদ্ধিতে কাজ করেনি বলে দাবি দেশটির।

যদিও যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল ও সৌদি আরব দাবি করেছে যে গোপনে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির কাজ চালিয়ে গেছে ইরান। প্রত্যুত্তরে ইরান জানিয়েছে, কেবল বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রেই তারা পারমাণবিক কার্যক্রম চালিয়ে গেছে। যার কারণে এখনও স্পষ্ট নয় যে ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র আছে কিনা।

রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক

মার্কিনদের অন্যতম শত্রু রাশিয়ার সঙ্গে বরাবরই সুসম্পর্ক বজায় রেখেছে ইরান। এই দুই দেশের মধ্যে অস্ত্র ক্রয়-বিক্রয়ের সম্পর্কও রয়েছে। যার কারণে অনেকেই ধারণা করছেন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যুদ্ধ বাধলে ইরানের পক্ষে লড়তে পারে রাশিয়া।

এদিকে ইরানের নিজস্ব পারমাণবিক সক্ষমতা না থাকলেও রাশিয়ার রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ম্যাগাজিন নিউজউইকের মতে বিশ্বের সবচেয়ে পারমাণবিক অস্ত্র সমৃদ্ধ দেশ রাশিয়া। যাদের প্রায় ৬ হাজার ৮০০টি পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে। এর পরের অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যাদের রয়েছে ৬ হাজার ৬০০ পারমাণবিক অস্ত্র।

এ জাতীয় আরো সংবাদ