ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশকে অনুরোধ জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘তাদের (জড়িতদের) ধরতে পুলিশ তৎপর আছে। তাদের (পুলিশ) অনুরোধ করেছি নরপিশাচকে শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার জন্য।’
আজ সোমবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই ছাত্রীকে দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন উপাচার্য।
অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘আমরা খুবই মর্মাহত, চরম দুঃখজনক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এটি। হাসপাতালে তাকে সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। ছাত্রীর মনোবল ভালো আছে। তার মনোবল খুব শক্ত আছে। ঢাবি কর্তৃপক্ষ তার অভিভাবক। বাবাসহ পরিবারের লোকজন তার সঙ্গে আছে। প্রথমে তাকে মানসিকভাবে সামর্থ্য করে তুলতে হবে। তার কাছে আমরা ভিড় করব না। এখন মূলত প্রধান কাজ হচ্ছে তাকে মানসিকভাবে সাপোর্ট দেওয়া। পাশাপাশি নরপিচাশকে শনাক্ত করা, তাকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা।’
উপাচার্য আরও বলেন, ‘থানা পুলিশ হাসপাতাল থেকেই পরিবারের কাছ থেকে মামলা নিয়েছে। তার বাবা বাদী হয়েছে। ঢাবি সব ধরনের সহায়তা দেবে।’
এর আগে গতকাল রোববার সন্ধ্যায় কুর্মিটোলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস থেকে নেমে যাওয়ার পর তাকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ করেন ওই ছাত্রী।
জানা গেছে, গতকাল বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে শেওড়া যাওয়ার উদ্দেশে ঢাবির বাসে ওঠেন ওই শিক্ষার্থী। সন্ধ্যা ৭টার দিকে শেওড়ার বিপরীত পাশে কুর্মিটোলায় বাস থেকে নামেন তিনি। সেখানে অজ্ঞাত ব্যক্তি মুখ চেপে তাকে পাশের একটি স্থানে নিয়ে অজ্ঞান করে ধর্ষণ করে।
রাত ১০টার দিকে জ্ঞান ফিরলে তিনি নিজেকে নির্জন স্থানে আবিষ্কার করেন। সেখান থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় গন্তব্যে পৌঁছান ওই ছাত্রী। পরে রাত ১২টার দিকে তাকে ঢামেক হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করান তার সহপাঠীরা।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মানসিকভাবে বিপর্যস্ত আছেন। আর সুচিকিৎসায় মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে।