1. successrony@gmail.com : Mehedi Hasan Rony :
  2. arif_rashid@live.com : Arif Rashid : Arif Rashid
  3. meherunnesa3285@gmail.com : Meherun Nesa : Meherun Nesa
বুধবার, ২৭ মার্চ ২০২৪, ১১:২৪ অপরাহ্ন

ধর্ষক একজনই, পুলিশকে নির্যাতিতা ছাত্রী

দিনলিপি নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ৬ জানুয়ারী, ২০২০
  • ৬৭২ বার

ধর্ষক একজনই ছিল বলে পুলিশকে জানিয়েছেন রাজধানীর কুর্মিটোলায় নির্যাতিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রী। বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন গুলশান বিভাগের উপকমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী। তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মেয়েটি পুলিশকে জানিয়েছে ‘কয়েকজন নয়, ধর্ষক একজনই ছিল’।

এদিকে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণের আলামত মিলেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। সোমবার (৬ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, মেয়েটির গলা, হাতসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন আছে। কিছু আঘাত হয়েছে ধর্ষণকারীর দ্বারা, আর কিছু হয়েছে ঘটনাস্থলের কারণে। জঙ্গলের কারণে তার পায়ে কিছু আঘাত লেগেছে।

ডা. সোহেল মাহমুদ বলেন, মেয়েটির গলায় আমরা ধর্ষণকারীর হাতের চিহ্ন পেয়েছি। বোঝা গেছে যে ধর্ষণকারী তার গলা টিপে ধরেছিল। হাতেও একই ধরনের চিহ্ন আছে যেটা থেকে অনুমিত হচ্ছে যে তাকে জোর করে আঘাত করা হয়েছে। লাথি মারা হয়েছে এরকম আঘাতের চিহ্নও পেয়েছি মেয়েটির শরীরে।

তিনি বলেন, মেয়েটির শরীরে ধর্ষণের আলামত পেয়েছি। একজন করেছে, না একাধিক ব্যক্তি ছিল- তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, রোববার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে শেওড়া যাওয়ার উদ্দেশে ঢাবির বাসে ওঠেন ওই শিক্ষার্থী। সন্ধ্যা ৭টার দিকে কুর্মিটোলায় বাস থেকে নামার পর অজ্ঞাত ব্যক্তিরা তাকে পার্শ্ববর্তী একটি স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে অজ্ঞান করে ধর্ষণ করা হয়। রাত ১০টার দিকে জ্ঞান ফিরলে তিনি নিজেকে নির্জন স্থানে আবিষ্কার করেন। সহপাঠীদের খবর দিলে তারা সেখানে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে তাকে রোববার রাত ১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে নেওয়া হয়।

পরে সোমবার সকালে মেয়েটির চিকিৎসায় ঢামেক হাসপাতালের স্ত্রীরোগ ও প্রসূতি বিদ্যা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সালমা রউফকে প্রধান করে সাত সদস্যবিশিষ্ট মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। তার আগে ঢাবি ছাত্রীকে দেখতে গিয়ে তার চিকিৎসার প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছিলেন প্রোভিসি অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ।

পরে ভিসি অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামানও ওই ছাত্রীকে দেখতে গিয়ে তার চিকিৎসাসহ আইনানুগ সব ধরনের সহায়তা প্রদানে ঢাবি কর্তৃপক্ষ পাশে থাকবে বলে ঘোষণা দেন।

এ জাতীয় আরো সংবাদ