1. successrony@gmail.com : Mehedi Hasan Rony :
  2. arif_rashid@live.com : Arif Rashid : Arif Rashid
  3. meherunnesa3285@gmail.com : Meherun Nesa : Meherun Nesa
রবিবার, ২১ জুলাই ২০২৪, ০১:৪৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
চার দিনের সফরে চীনের পথে প্রধানমন্ত্রী বাকেরগঞ্জে সাংবাদিককে প্রাণনাশের হুমকি দিলেন আ’লীগ নেত্রী রাফির উপহার পেয়ে আবেগাপ্লুত তমা ক্ষুধা মেটেনি রিয়াল সভাপতির, নজর ১৬তম শিরোপায় আমরা দ্বিতীয় স্যাটেলাইটের প্রস্তুতি নিচ্ছি : প্রধানমন্ত্রী পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ত্রাণ বিতরণ করলেন প্রধানমন্ত্রী মাহিকে দুটি গাড়ি ও ফ্ল্যাট দিয়েছিলেন আজিজ এমপি আনারের বিষয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ৬ মাসে ১ দিন কিংবা সাপ্তাহে ১ দিন নয়,২৪ ঘন্টা আমি আপনাদের সেবায় নিয়োজিত থাকতে চাই-মঈনুল হাসান নাহিদ! সিরাজদিখানে ভাইস-চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী রফিকুল ইসলাম বাবুল এর ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়

শতবর্ষী মাকে ফেলে পালালেন সন্তানরা, ১৪ দিন কাটাল রেলস্টেশনেই

দিনলিপি নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী, ২০২০
  • ৪৮৪ বার

তীব্র শীতের মধ্যে শতবর্ষী মাকে রেলস্টেশনে ফেলে রেখে পালিয়ে গেছেন তার সন্তান ও স্বজনরা। ওই বৃদ্ধা নারীর নাম-ঠিকানা কিছুই জানা যায়নি।

জানা যায়, চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলওয়ে স্টেশনে হাড় কাঁপানো শীতে প্লাটফরমে ১৪ দিন থাকার পর গত রোববার রাতে ওই বৃদ্ধ মাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলেও তাকে নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন চিকিৎসকরা।

আজ মঙ্গলবার গোমস্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালে শতবর্ষী এই বৃদ্ধা অচেতন অবস্থায় বিছানায় রয়েছেন। তবে মাঝেমধ্যে চেতনা ফিরে পেলেও আবার অচেতন হয়ে পড়ছেন।

রহনপুর রেলওয়ে স্টেশন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘ওই দিন স্টেশনে আমার দোকানে বসেছিলাম। দেখলাম কয়েকজন রিকশাভ্যানে নিয়ে এসে বৃদ্ধ নারীকে স্টেশনের প্লাটফরমের একটি জায়গায় রেখে দিল। কৌতূহলী হয়ে আমি তাদের কাছে কারণ জানতে চাইলে তারা কোনো উত্তর না দিয়ে চলে যায়।’

সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘কিছুক্ষণ পর শুরু হয় বৃষ্টি। দীর্ঘক্ষণ পরও তারা ফিরে না আসায় আমি স্টেশনের তেঁতুলগাছের নিচে পরিত্যক্ত জায়গাটিতে খড় বিছিয়ে দিই। এর পর পুরনো কম্বল দিয়ে বিছানা তৈরি করে তাকে সেখানে রাখি। আমি গরিব মানুষ, তার পরও এই কয়দিন আমার যথাসাধ্য সেবাযত্ন করার চেষ্টা করেছি। এভাবেই গত দুই সপ্তাহ সে এখানেই ছিলেন।’

এর পর বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় প্রশাসন তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। বর্তমানে তিনি কিছুটা সুস্থ হলেও শঙ্কামুক্ত নয় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

গোমস্তাপুর উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. সালাউদ্দীন বলেন, ‘রোবরার রাতে যখন তাকে এখানে আনা হয়, তখন প্রচণ্ড শীত। বার্ধক্যজানিত কারণে তার শারীরিক অবস্থা খুব খারাপ ছিল। ভাইটাল সাইন যেমন বিপি পালস খুব কম ছিল। চিকিৎসার পর সকালে তার শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলেও এখনো শঙ্কা মুক্ত নন তিনি। তার উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন। তবে যতক্ষণ তিনি এখানে আছেন, আমাদের যথাসাধ্য চিকিৎসাসেবা দেব।’

অমানবিক এমন ঘটনার খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ, চিকিৎসকসহ স্থানীয় জনপ্রশাসনও এগিয়ে এসেছেন শতবর্ষী ওই বৃদ্ধার সেবায়।

রহনপুর পৌর মেয়র তারেক আহমেদ বলেন, ‘ঘটনাটি খুবই অমানবিক। রাতে আমি বিষয়টি শোনার পরই হাসপাতালে ছুটে এসেছি। তিনি আমার মায়ের মতোই। তাই তাকে ফেলে যেতে পারিনি। যতদিন এই অসহায় বৃদ্ধ মায়ের পরিচয় নিশ্চিত না হওয়া যাচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত জনপ্রতিনিধি হিসেবে নয়, একজন সন্তানের মতোই তার পাশে থাকব।’

রহনপুর পৌরসভার পক্ষ থেকে মালতি বেগম নামে এক নারীকে ওই বৃদ্ধাকে দেখভালের জন্য নিয়োজিত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। বর্তমানে মালতি বেগম বৃদ্ধাকে সার্বক্ষণিক দেখাশোনা করছেন।

মালতি বেগম জানান, যখনই ওই বৃদ্ধা চেতনা ফিরে পাচ্ছেন, তখনই একরাশ ঘৃণা প্রকাশ করছেন তার স্বজনদের প্রতি। হাতের ইশারায় দূরে সরে যেতে বলছেন তিনি।

এ জাতীয় আরো সংবাদ