রোহিঙ্গা সংকটে বাংলাদেশের উদারতা ও নেতৃত্বের প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি দিয়েছেন জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনারের (ইউএনএইচসিআর) বিশেষ দূত অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। চিঠিতে তিনি রোহিঙ্গাদের আশ্রয় এবং তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করায় বাংলাদেশের প্রশংসা করেছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২১ ফেব্রুয়ারি পাঠানো চিঠিতে ইউএনএইচসিআর-এর বিশেষ দূত অ্যাঞ্জেলিনা জোলি বলেছেন, ‘ইউএনএইচসিআর রোহিঙ্গাদের টেকসই প্রত্যাবাসনের উপযুক্ত পরিস্থিতি তৈরি করতে মিয়ানমারের সঙ্গে কার্যক্রম চালিয়ে যাবে।’
অ্যাঞ্জেলিনা জোলি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, ‘রোহিঙ্গা মানবিক সংকট মোকাবিলায় ২০২০ সালের যৌথ পরিকল্পনা (জেআরপি) আরও ভালোভাবে অর্থায়ন পেতে সহায়তা করবে।’
জোলি জানান, তিনি রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক কাজ অব্যাহত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। একই সঙ্গে বাংলাদেশের জনগণের প্রতি সবধরনের সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।
উল্লেখ্য, অ্যাঞ্জেলিনা জোলি ইউএনএইচসিআর-এর বিশেষ দূত হিসেবে ২০১৯ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজারের টেকনাফ চাকমারকুল রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছিলেন। সে সময় তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথেও সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
এর আগে, ২০১৭ সালের আগস্ট মাসে অ্যাঞ্জেলিনা জোলি কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনের ঘোষণা দেন। তবে তার সফরসূচি চূড়ান্ত হতে এক বছরের বেশি সময় লেগে যায়।
অ্যাঞ্জেলিনা জোলি ২০১২ সালে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার বিশেষ দূত হিসেবে নিযুক্ত হন। এরপর থেকে তিনি মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার মানুষ বিশেষ করে নারীর প্রতি সহিংসতা ও যৌন নির্যাতনের প্রতিরোধে সোচ্চার ভূমিকা রাখছেন।
এর আগে গত বছরের ২১ মে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। তিনি টেকনাফের বাহারছড়ার শামলাপুর মনখালী ব্রিজের পাশে অস্থায়ী রোহিঙ্গা শিবির এবং টেকনাফের হারিয়াখালীতে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশের পথ দেখেন। সেখানে শিশুদের সঙ্গে সময়ও কাটান। জাতিসংঘের শিশু তহবিলের (ইউনিসেফ) শুভেচ্ছাদূত হিসেবে বাংলাদেশে আসেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া।