প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে চীনে বেড়েই চলেছে মৃতের সংখ্যা। গতকাল সোমবার পর্যন্ত চীনের মূল ভূ-খণ্ডে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৬৬৩ জনে। এ ছাড়া এ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৭৭ হাজার ৬৫৮ জনে দাঁড়িয়েছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানায়,সোমবার চীনে ৭১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৬৮ জন উহান প্রদেশে। এ নিয়ে দেশটিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ২ হাজার ৬৬৩ জনে।
এদিকে, সোমবার দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন করে ৬০ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে দেশটিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৯৩ জনে।
এ ছাড়া ইতালিতে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন সাতজন। করোনাভাইরাসে দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ২২৯ জন।
দক্ষিণ কোরিয়া, ইরান ও ইতালিতে দ্রুত নতুন রোগী বাড়তে থাকায় করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বিশ্বে আরও ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। সার্স ও মার্স পরিবারের সদস্য নতুন এ ভাইরাসের নাম দেওয়া হয়েছে নভেল করোনাভাইরাস। আর এর সংক্রমণে ফ্লুর মতো উপসর্গ নিয়ে যে রোগ হচ্ছে,তাকে বলা হচ্ছে কভিড-১৯।
আক্রান্ত রোগীদের লালা ও শ্লেষ্মা পরীক্ষা করে চীনা বিজ্ঞানীরা এখন বলছেন, নভেল করোনাভাইরাস যেভাবে ছড়াচ্ছে,তাতে সার্সের চেয়ে ইনফ্লুয়েঞ্জার সঙ্গেই এর মিল পাওয়া যাচ্ছে বেশি। আগে যেমনটা ভাবা হয়েছিল,তার চেয়েও সহজে এবং দ্রুতগতিতে এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে।
এ ছাড়া করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ৪০ হাজার ১২৭ জন রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন,যাদের মধ্যে ১ হাজার ৮৪৫ জনের অবস্থা আশঙ্কজনক। আর ১৫ হাজার ২৯৯ জন চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
প্রসঙ্গত, গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের মধ্যাঞ্চলীয় হুবেই প্রদেশে প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাসে সংক্রমণ ধরা পড়ে। মহামারির আশঙ্কায় বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশ ইতিমধ্যেই চীনের সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রেখেছে। মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমিত হওয়া এ ভাইরাস ঠেকাতে চীন-ভ্রমণে কড়াকড়ি আরোপ করেছে বেশ কয়েকটি দেশ।