1. successrony@gmail.com : Mehedi Hasan Rony :
  2. arif_rashid@live.com : Arif Rashid : Arif Rashid
  3. meherunnesa3285@gmail.com : Meherun Nesa : Meherun Nesa
বৃহস্পতিবার, ০৮ জুন ২০২৩, ১২:২৩ পূর্বাহ্ন

রিফাত হত্যার মাস্টারমাইন্ড মিন্নি: রাষ্ট্রপক্ষ

দিনলিপি নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২০
  • ৪২৬ বার

রিফাত শরীফ হত্যার মাস্টারমাইন্ড ছিলেন তার স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি। এ মামলায় মিন্নিসহ ছয়জনের ফাঁসির রায়ের মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মুজিবুল হক কিসুল।

বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রিফাত হত্যার রায় ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
এর আগে রিফাত হত্যা মামলায় স্ত্রী মিন্নিসহ ৬ জনকে ফাঁসির দণ্ডাদেশ দেন আদালত। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- রাকিবুল হাসান রিফাত ফরাজি (২৩), আল কাইউম ওরফে রাব্বি আকন (২১), মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত (১৯), রেজওয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয় (২২), মো. হাসান (১৯), আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি (১৯)।

রায়ে ৪ জনকে খালাস দেওয়া হয়েছে। খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- মো. মুসা (২২), রাফিউল ইসলাম রাব্বি (২০), মো. সাগর (১৯), ও কামরুল ইসলাম সাইমুন (২১)।

আইনজীবী মুজিবুল হক বলেন, রিফাত হত্যা মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণ করতে আমরা সক্ষম হয়েছি। প্রত্যাশিত রায় পেয়েছি। রায়ে প্রমাণ হলো অপরাধী যেই হোক ছাড় নেই। এ মামলার রায়ের মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ১৬ সেপ্টেম্বর এ মামলার যুক্তিতর্ক শেষ হলে রায় ঘোষণার জন‌্য ৩০ সেপ্টেম্বর তারিখ ধার্য করেন আদালত।উল্লেখ‌্য, ২০১৯ সালের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে প্রকাশ্যে কুপিয়ে জখম করা হয় রিফাত শরীফকে। ওই দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এরপর রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বাদী হয়ে বরগুনা থানায় ১২জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় রিফাতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দীকা মিন্নিকে প্রধান সাক্ষি রাখা হয়।

এরপর ওই বছরের ১ সেপ্টেম্বর রিফাতের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দুই ভাগে বিভক্ত অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দেয় পুলিশ। এ মামলায় প্রাপ্তবয়স্ক ১০ ও কিশোর ১৪ জনের আলাদা বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়। প্রাপ্তবয়স্কদের অভিযোগপত্রে মিন্নিকে ৭ নম্বর আসামি রাখা হয়।

চলতি বছরের ১ জানুয়ারি মামলার চার্জগঠন হয়। ১৬ সেপ্টেম্বর মামলাটির যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে ৩০ সেপ্টেম্বর রায়ের তারিখে ঘোষণা করা হয়। বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ ৭৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ ও অন্যান্য তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপনসহ ৪৩ কার্যদিবসের মধ্যে বিচারিক কার্যক্রম শেষ করে।

এ জাতীয় আরো সংবাদ