1. successrony@gmail.com : Mehedi Hasan Rony :
  2. arif_rashid@live.com : Arif Rashid : Arif Rashid
  3. meherunnesa3285@gmail.com : Meherun Nesa : Meherun Nesa
সোমবার, ২২ জুলাই ২০২৪, ০৬:৩৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
চার দিনের সফরে চীনের পথে প্রধানমন্ত্রী বাকেরগঞ্জে সাংবাদিককে প্রাণনাশের হুমকি দিলেন আ’লীগ নেত্রী রাফির উপহার পেয়ে আবেগাপ্লুত তমা ক্ষুধা মেটেনি রিয়াল সভাপতির, নজর ১৬তম শিরোপায় আমরা দ্বিতীয় স্যাটেলাইটের প্রস্তুতি নিচ্ছি : প্রধানমন্ত্রী পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ত্রাণ বিতরণ করলেন প্রধানমন্ত্রী মাহিকে দুটি গাড়ি ও ফ্ল্যাট দিয়েছিলেন আজিজ এমপি আনারের বিষয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ৬ মাসে ১ দিন কিংবা সাপ্তাহে ১ দিন নয়,২৪ ঘন্টা আমি আপনাদের সেবায় নিয়োজিত থাকতে চাই-মঈনুল হাসান নাহিদ! সিরাজদিখানে ভাইস-চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী রফিকুল ইসলাম বাবুল এর ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়

চীনা টিকার কার্যকারিতা কম, স্বীকার করল বেইজিং

দিনলিপি নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ১১ এপ্রিল, ২০২১
  • ২৮৯ বার

চীনের বিজ্ঞানীদের তৈরি করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনগুলোর কার্যকারিতার ব্যাপারে এক বিরল স্বীকারোক্তি দিয়েছেন দেশটির শীর্ষ এক রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা। শনিবার দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় চেংদু শহরে এক সংবাদ সম্মেলনে চীনা ওই কর্মকর্তা বলেছেন, তাদের ভ্যাকসিনগুলোর কার্যকারিতা কম এবং এটি বৃদ্ধির জন্য সরকার করোনাভাইরাসের দেশীয় বিভিন্ন টিকার মিশ্রণ তৈরির বিষয়টি বিবেচনা করছে।

চীনের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের প্রধান গাও ফু টিকার মিশ্রণ তৈরির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, চীনের ভ্যাকসিনগুলোর কার্যকারিতার হার খুব উচ্চ নয়। যে কারণে সরকার একাধিক টিকার মিশ্রণ ঘটিয়ে সুরক্ষা বৃদ্ধির চিন্তা-ভাবনা করছে।

চীন এখন পর্যন্ত স্থানীয় বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবিত করোনাভাইরাসের একাধিক টিকা দেশটির ১৬ কোটি ৪৪ লাখের বেশি মানুষকে দিয়েছে। গত ২ এপ্রিল পর্যন্ত দেশটির ৩ কোটি ৪০ লাখ মানুষ করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের দু’টি করে ডোজ নিয়েছেন। এর পাশাপাশি বিশ্বের অন্যান্য আরো কয়েকটি দেশে লাখ লাখ ডোজ টিকা বিতরণ করেছে বেইজিং।

গাও বলেন, ‌‘টিকাদান প্রক্রিয়ার জন্য আমরা ভিন্ন ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে একাধিক টিকার মাধ্যমে একটি মিশ্রণ তৈরির পর ব্যবহার করব কি না তা এখন আনুষ্ঠানিকভাবে বিবেচনাধীন রয়েছে।’
চীনের ফার্মাসিউটিক্যাল ফার্ম সিনোভ্যাকের তৈরি একটি ভ্যাকসিনের করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে কার্যকারিতার হার অনেক কম। ব্রাজিলে এই ভ্যাকসিনের ট্রায়ালে করোনা ঠেকাতে ৫০ দশমিক ৪ শতাংশ সফল হয়েছে বলে জানায় সিনোভ্যাক। অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের ফাইজার এবং তাদের জার্মান অংশীদার বায়োএনটেকের তৈরি করোনা টিকা ৯৭ শতাংশ সুরক্ষা দেয়।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে করোনার উৎপত্তি হওয়া চীনে এখন পর্যন্ত বিদেশি কোনো টিকার অনুমোদন দেওয়া হয়নি। ভিন্ন ভিন্ন ভ্যাকসিনের সমন্বয়ে মিশ্রণ তৈরির কথা জানালেও কৌশলগত দিক থেকে কী ধরনের পরিবর্তন আনা হতে পারে সে বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য দেননি গাও ফু। তবে এমআরএনএ প্রযুক্তি ব্যবহারের কথা বলেছেন তিনি।

ম্যাসেঞ্জার আরএনএ বা এমআরএনএ প্রুযক্তিতে তৈরি টিকা ভাইরাসের জেনেটিক উপাদান বহন করে। প্রয়োগ করা হলে এটি শরীরের প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য জাগিয়ে তোলে।

পশ্চিমা বিশ্বের কিছু কোম্পানি তাদের করোনা টিকা এমআরএনএ প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি করলেও চীন চিরাচরিত কৌশল ব্যবহার করে তা করেছে।
গাও ফু বলেন, এমআরএনএ ভ্যাকসিনগুলো মানুষের জন্য যে উপকার বয়ে আনতে পারে তা প্রত্যেকেরই বিবেচনা করা উচিত। তিনি বলেন, ‘আমরা অবশ্যই এটি অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে অনুসরণ করব। এটিকে উপেক্ষা করা যাবে না। ইতোমধ্যে আমাদের কাছে বেশকিছু ধরনের ভ্যাকসিন রয়েছে।’

এর আগে, এমআরএনএ ভ্যাকসিনের সুরক্ষার ব্যাপারে প্রশ্ন তুলেছিলেন গাও। গত ডিসেম্বরে রাষ্ট্রীয় সংবাদসংস্থা সিনহুয়াকে তিনি বলেছিলেন, এমআরএনএ ভ্যাকসিনের নেতিবাচক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার সম্ভাবনা নাকচ করে দেওয়া যায় না। কারণ এ ধরনের টিকা প্রথমবারের মতো সুস্থ মানুষের শরীরে ব্যবহৃত হচ্ছে।

এ জাতীয় আরো সংবাদ