আগামী ১১ আগস্ট থেকে সীমিত আকারে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ট্রেন চলাচল শুরু হবে। চলবে ৩৮ জোড়া আন্তঃনগর ও ১৯ জোড়া মেইল-কমিউটার ট্রেন। প্রতিটি ট্রেনের টিকিট অনলাইনে বিক্রি করা হবে।
তবে নন কম্পিউটারাইজড স্টেশনের টিকিট ওই স্টেশন কাউন্টার হতে ক্রয় করতে হবে। এছাড়া চলমান বিধিনিষেধ আগামী ১০ আগস্টের পর বর্ধিত করা হলে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে।
আজ বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) বাংলাদেশ রেলওয়ের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে পোস্টের মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।
এবারো ট্রেনের ৫০ শতাংশ টিকিট বিক্রি করা হবে, যার পুরোটাই দেয়া হবে অনলাইনে। বন্ধ থাকবে কাউন্টার। কোরবানির ঈদে যে কয়টা ট্রেন চলেছে সেগুলো দিয়েই ১১ আগস্ট থেকে ট্রেন চলাচল শুরু হবে। নিয়ম-কানুন একই থাকছে।
পোস্টে বিশেষ নির্দেশনাও দেয়া হয়। এতে বলা হয়েছে- কোনো প্রকার ভাড়া বাড়ানো হবে না। প্রতিটি ট্রেনের টিকিট অনলাইনে বিক্রয় করা হবে। নন কম্পিউটারাইজড স্টেশনের টিকিট ওই স্টেশন কাউন্টার থেকে ক্রয় করতে হবে। টিকিট কাউন্টার বন্ধ থাকবে। সব অগ্রিম টিকিট যাত্রার পাঁচদিন আগে ক্রয় করতে পারবেন। অনলাইনে ক্রয়কৃত টিকিট ফেরত দেয়া যাবে না।
এতে আরো বলা হয়, কমিউটার ট্রেনের টিকিট যথারীতি নির্দিষ্ট বক্স কাউন্টার থেকে দেয়া হবে। আসনবিহীন টিকিট বিক্রয় বন্ধ থাকবে। ট্রেনে ভ্রমণ ইচ্ছুক যাত্রীদের নিজ নিজ টিকিট নিশ্চিত করেই কেবল ট্রেনে ভ্রমণের জন্য অনুরোধ করা হলো। টিকিটবিহীন কোনো যাত্রী স্টেশনে প্রবেশ বা ট্রেনে ভ্রমণ করতে পারবেন না। মাস্ক ব্যতীত কোনো যাত্রীকে স্টেশনে প্রবেশ বা ট্রেনে ভ্রমণ করতে দেয়া হবে না।
এদিকে শিল্পকারখানা খোলা রেখে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে অভ্যন্তরীণ রুটে বিমান চলাচলের সুযোগ রেখে করোনা সংক্রমণ রোধে চলমান বিধিনিষেধ আগামী ১০ আগস্ট পর্যন্ত বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। আজ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এই প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।