1. successrony@gmail.com : Mehedi Hasan Rony :
  2. arif_rashid@live.com : Arif Rashid : Arif Rashid
  3. meherunnesa3285@gmail.com : Meherun Nesa : Meherun Nesa
শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:০৭ পূর্বাহ্ন

দেশে ৯৮ শতাংশ করোনা রোগীই ডেল্টা ধরনে আক্রান্ত : বিএসএমএমইউ

দিনলিপি নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ৫ আগস্ট, ২০২১
  • ৩২৩ বার

দেশে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে ৯৮ শতাংশের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের উপস্থিতি পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)।

আজ বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) বিএসএমএমইউ কোভিড-১৯ এর জিনোম সিকোয়েন্সিং গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করে। জিনোম সিকোয়েন্সিং রিসার্চ প্রজেক্টের সুপারভাইজার ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ এই ফলাফল তুলে ধরেন।

গত ২৯ জুন থেকে ৩০ জুলাই পর্যন্ত সারা দেশে কোভিড-১৯ শনাক্ত রোগীদের ওপর এই গবেষণা পরিচালিত হয়। গবেষণায় দেশের সব বিভাগের ৩০০ রোগীর রিপ্রেজেন্টেটিভ স্যাম্পলিং করা হয়। এর মধ্যে ৫৩ শতাংশ পুরুষ। বিএসএমএমইউয়ের গবেষণায় নয় মাস থেকে শুরু করে ৯০ বছরের বয়স পর্যন্ত রোগী অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। এর মধ্যে ৩০-৩৯ বছর বয়সের রোগীর সংখ্যা বেশি ছিল।

যেহেতু কোনো বয়স সীমাকেই কোভিড-১৯ এর জন্য ইমিউন করছে না, সে হিসেবে শিশুদের মধ্যেও যে কোভিড সংক্রমণ ঝুঁকি নেই, তা বলা যাচ্ছে না।

ডা. শারফুদ্দিন বলেন, কোভিড শনাক্ত রোগীদের মধ্যে যাদের কো-মরবিডিটি রয়েছে যেমন- ক্যানসার, শ্বাসতন্ত্রের রোগ, ডায়াবেটিস তাদের মৃত্যুর সংখ্যা বেশি। ষাটোর্ধ বয়সী রোগীদের দ্বিতীয়বার সংক্রমণ হলে মৃত্যু ঝুঁকি বেশি পরিলক্ষিত হয়েছে। যদিও এ গবেষণায় টিকার কার্যকারিতার বিষয়টি চলমান রয়েছে।

তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, বাংলাদেশে গত বছর ডিসেম্বরে ইউকে বা আলফা ভ্যারিয়েন্ট দ্বারা সংক্রমণের হার বেশি ছিল। চলতি বছরের মার্চের রিপোর্ট অনুযায়ী, সাউথ আফ্রিকান বা বেটা ভ্যারিয়েন্ট দ্বারা সংক্রমণের হার বেশি ছিল। আমাদের গত এক মাসের ৩০০ স্যাম্পলের জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ে দেখা যায়, মোট সংক্রমণের প্রায় ৯৮ শতাংশ হচ্ছে ইন্ডিয়ান বা ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট। এক শতাংশ সাউথ আফ্রিকান বা বেটা ভ্যারিয়েন্ট দ্বারা সংক্রমণ।

তিনি আরো বলেন, যদিও আমাদের গবেষণায় প্রথম ১৫ দিনে এই সংখ্যা ছিল তিন শতাংশ। একজন রোগীর ক্ষেত্রে আমরা পেয়েছি মরিসাস ভ্যারিয়েন্ট বা নাইজেরিয়ান ভ্যারিয়েন্ট (তদন্তাধীন ভ্যারিয়েন্ট)।

গবেষণার উদ্দেশ্য প্রসঙ্গে বিএসএমএমইউ উপাচার্য বলেন, করোনার জেনোম সিকোয়েন্সিং গবেষণার উদ্দেশ্য ভাইরাসটির জিনোমের চরিত্র উন্মোচন, মিউটেশনের ধরণ এবং বৈশ্বিক ভাইরাসের জিনোমের সাথে এর সম্পর্ক বের করা এবং বাংলাদেশি কোভিড-১৯ জেনোম ডাটাবেস তৈরি করা।

এ জাতীয় আরো সংবাদ