চীন থেকে সিনোফার্মের সাড়ে ৭ কোটি ডোজ টিকা আসবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, চীনের সাথে আমাদের দেড় কোটি ডোজ টিকার চুক্তি হয়েছে। ইতিমধ্যে তারা টিকা পাঠানোও শুরু করেছে। আমরা চীন থেকে আরো ছয় কোটি ডোজ টিকার চুক্তি করবো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদেরকে এই অনুমোদন দিয়েছেন।
আজ শনিবার (৭ আগস্ট) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কোভিড ফিল্ড হাসপাতাল উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা জানান।
জাহিদ মালেক বলেন, সাত কোটি ডোজ টিকার মধ্যে অক্টোবর ও নভেম্বর মাসেই দুই কোটি করে মোট চার কোটি ডোজ টিকা আসবে। এর আগেও আসবে, তবে কিছুটা কম করে।
তিনি বলেন, বিএসএমএমইউর ফিল্ড হাসপাতালে আপাতত ৩৫৭টি শয্যা নিয়ে যাত্রা শুরু হয়েছে। এর মধ্যে ৪০টি আইসিইউ, বাকিগুলাতে সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন স্থাপন করা হয়েছে। আর হাসপাতালটিকে পর্যায়ক্রমে এক হাজার বেডে উন্নীত করা হবে। কোভিড চিকিৎসার সব ধরণের সুযোগ সুবিধা এখানে আছে। তবে সব রোগীদের এখানে ভর্তি করা হবে না। নতুন রোগী ও মুমূর্ষু রোগীরা এখানে আসবে, তাদের চিকিৎসা দেয়া হবে।
তিনি আরো বলেন, দেশে করোনা সংক্রমণ দিন দিন খারাপ হচ্ছে। হাসপাতালগুলোতে কোথাও আইসিইউ বেড খালি নেইই। কোভিড চিকিৎসায় সারাদেশে ১৭ হাজার সাধারণ বেড রয়েছে। তবে সেগুলোর প্রায় সবগুলোই রোগীতে ভর্তি হয়ে গিয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, হাসপাতালগুলোতে এখন করোনা চিকিৎসার পাশাপাশি ডেঙ্গু চিকিৎসাও করতে হচ্ছে। চিকিৎসক- স্বাস্থ্যকর্মীরা অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন। তবে সংক্রমণ কমানোর সময় এসেছে। হাসপাতালে আর বেড বাড়ানোর আর সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, টিকা আমরা গ্রামে নিয়ে যেতে চাচ্ছি। শহরের লোকেরা টিকা মোটামুটি পেয়েছে। গ্রামের বয়স্ক লোক সেভাবে টিকা গ্রহণ করেনি। তাদের মধ্যে অনীহাও ছিল। আমরা সেই জন্য টিকা তাদের কাছে নিয়ে যাচ্ছি। ঢাকা শহরে যে ৭৫ শতাংশ রোগী আছে তাদের বেশির ভাগই গ্রাম থেকে আসা এবং ৯০ শতাংশই টিকাবিহীন, তারা টিকা নেননি।
তিনি আরো বলেন, ঢাকায় সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে ছয় হাজার শয্যা রয়েছে, তার মধ্যে এখন এক হাজার শয্যাও খালি নেই। এই পর্যায়ে আমরা আছি। সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে প্রায় দেড় হাজার আইসিইউ রয়েছে, তারপরও আমরা আইসিইউ সংকট দূর করতে পারিনি। নন-কোভিড রোগীই ৮০ শতাংশ। তাদের চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হচ্ছে।