1. successrony@gmail.com : Mehedi Hasan Rony :
  2. arif_rashid@live.com : Arif Rashid : Arif Rashid
  3. meherunnesa3285@gmail.com : Meherun Nesa : Meherun Nesa
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:২৭ অপরাহ্ন

স্বাস্থ্যের সেই গাড়িচালক মালেকের ৩০ বছরের কারাদণ্ড

দিনলিপি নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২১
  • ২২৯ বার

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গাড়িচালক আব্দুল মালেক ওরফে মালেক ড্রাইভারের বিরুদ্ধে দায়ের করা অস্ত্র আইনের মামলার ১৫ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

রায়ে অস্ত্র আইনের এক ধারায় ১৫ বছর ও আরেক ধারায় তাকে ১৫ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। তবে দুই ধারার সাজা একসঙ্গে চলবে।

আজ সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রবিউল আলমের আদালত এই রায় ঘোষণা করেন।

সংশ্লিষ্ট আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর মোহাম্মাদ সালাহউদ্দিন হাওলাদার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দুটি ধারায় মালেককে ১৫ বছর করে সাজা দেয়া হয়েছে। দুটি সাজা একসঙ্গে চলবে।

এদিন রায় ঘোষণার আগে কারাগার থেকে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় ঘোষণার পর ফের তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

গত সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রবিউল আলমের আদালত রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন ধার্য করেন।

গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর রাজধানীর তুরাগ থানাধীন কামারপাড়াস্থ ৪২ নম্বর বামনেরটেক হাজী কমপ্লেক্সের তৃতীয় তলার বাসা থেকে আব্দুল মালেককে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগজিন, পাঁচ রাউন্ড গুলি, দেড় লাখ বাংলাদেশি জাল নোট, একটি ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় র‌্যাব-১ এর পুলিশ পরিদর্শক আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে মামলা দুটি দায়ের করেন।

চলতি বছর ১১ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক মেহেদী হাসান চৌধুরী ড্রাইভার মালেককে একমাত্র আসামি করে অস্ত্র মামলায় চার্জশিট আদালতে দাখিল করেন।

পরে গেল ১১ মার্চ ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালত আসামি মালেকের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে মামলাটির বিচারের জন্য আদেশ দেন।

করোনার প্রাদুর্ভাব কিছুটা কমে গেলে ৫ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালত এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায় শেষ করেন। মামলাটির ১৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন আদালত।

এরপর ৬ সেপ্টেম্বর মামলাটি ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রবিউল আলম এর আদালতে পরবর্তী বিচার কাজের জন্য বদলির আদেশ দেন মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালত।

র‌্যাবের ভাষ্য, তিনি পেশায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিবহন পুলের একজন ড্রাইভার এবং তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী। তার শিক্ষাগত যোগ্যতা ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত। তিনি ১৯৮২ সালে সর্বপ্রথম সাভার স্বাস্থ্য প্রকল্পে ড্রাইভার হিসেবে যোগদান করেন। পরবর্তীতে ১৯৮৬ সালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিবহন পুলে ড্রাইভার হিসেবে চাকরি শুরু করেন।

এ জাতীয় আরো সংবাদ