1. successrony@gmail.com : Mehedi Hasan Rony :
  2. arif_rashid@live.com : Arif Rashid : Arif Rashid
  3. meherunnesa3285@gmail.com : Meherun Nesa : Meherun Nesa
শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৬:৪৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
চার দিনের সফরে চীনের পথে প্রধানমন্ত্রী বাকেরগঞ্জে সাংবাদিককে প্রাণনাশের হুমকি দিলেন আ’লীগ নেত্রী রাফির উপহার পেয়ে আবেগাপ্লুত তমা ক্ষুধা মেটেনি রিয়াল সভাপতির, নজর ১৬তম শিরোপায় আমরা দ্বিতীয় স্যাটেলাইটের প্রস্তুতি নিচ্ছি : প্রধানমন্ত্রী পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ত্রাণ বিতরণ করলেন প্রধানমন্ত্রী মাহিকে দুটি গাড়ি ও ফ্ল্যাট দিয়েছিলেন আজিজ এমপি আনারের বিষয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ৬ মাসে ১ দিন কিংবা সাপ্তাহে ১ দিন নয়,২৪ ঘন্টা আমি আপনাদের সেবায় নিয়োজিত থাকতে চাই-মঈনুল হাসান নাহিদ! সিরাজদিখানে ভাইস-চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী রফিকুল ইসলাম বাবুল এর ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়

গ্রাহকদের ২৫০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে কিউকম : ডিবি

দিনলিপি নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ৪ অক্টোবর, ২০২১
  • ২৯১ বার

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান কিউকম গ্রাহকের কাছ থেকে বিভিন্ন সময় ২৫০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এই টাকা বিভিন্ন জায়গায় আটকে রাখা হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে।

সোমবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে েঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার একেএম হাফিজ আক্তার একথা বলেছেন।

প্রতারণার অভিযোগে গ্রাহকের করা মামলায় কিউকমের প্রধান নিবার্হী কর্মকর্তা (সিইও) রিপন মিয়াকে গতকাল রবিবার (৩ অক্টোবর) রাতে ঢাকার ধানমণ্ডি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

হাফিজ আক্তার বলেন, কিউকমের একজন ভুক্তভোগী পল্টন থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন। মামলার প্রাথমিক তদন্তে নিশ্চিত হওয়ার পরই রবিবার রিপন মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়।

তিনি বলেন, রিপনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রায় ২৫০ কোটি টাকার পণ্যের ডেলিভারিতে আটকে থাকার তথ্য মিলেছে। ১০ দিনের মধ্যে পণ্য সরবরাহের কথা বলা হলেও তিন-চার মাস পরও পণ্য না দেয়ার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে কিউকমের বিরুদ্ধে।

তিনি আরও বলেন, অনেক ক্রেতা কিউকমে মালামাল অর্ডার করে পণ্য না পেয়ে প্রতারিত হয়েছেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রিপন মিয়া বলেছেন, কিউকম লক্ষাধিক পণ্য অনলাইনে বিক্রি করে। ক্রেতা আকৃষ্ট করার জন্য কিউকম ‘বিজয় আওয়ার’, ‘স্বাধীনতা আওয়ার’, ‘বিগ বিলিয়ন’ নামে বিভিন্ন অফারে অনেক কম দামে মোটরসাইকেল বিক্রির বিজ্ঞাপন দিত। অগ্রিম টাকা নিয়ে দুই থেকে ১৫ দিনের মধ্যে গ্রাহককে পণ্য বুঝিয়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিত তারা।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ১ লাখ ৬৭ হাজার টাকার মোটরসাইকেল ১ লাখ ২০ হাজার টাকায় দেয়ার প্রলোভনে ক্রেতারা নগদ টাকা পরিশোধ করে পণ্যের অর্ডার করতেন। কিন্তু সময়মত সরবরাহ না পেয়ে যোগাযোগ করলে কিউকম তাদের লাভ দিয়ে টাকা ফেরত দেয়ার প্রস্তাব দিত। অনেক ক্রেতা কিউকমের কাছ থেকে সেই চেক পেলেও টাকা আর ফেরত পাননি।

হাফিজ আক্তার বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক গত জুন মাসে ‘এসক্রো সিস্টেম’ চালু করে। এসক্রো সার্ভিসে দুইপক্ষের লেনদেনের সময় তৃতীয় পক্ষের কাছে অর্থ বা সম্পদ জমা রাখতে হয়। পণ্য বা সেবা বুঝে পাওয়ার পরই কেবল তার মূল্য পান বিক্রেতা। এ ব্যবস্থায় ক্রেতা পণ্যের দাম অগ্রিম দিলে তা চলে যায় বাংলাদেশ ব্যাংক অনুমোদিত পেমেন্ট গেটওয়ের কাছে। কিউকমের পেমেন্ট গেটওয়ে ছিল ফস্টার। কিউকম ক্রেতাকে পণ্য বুঝিয়ে দিয়ে চালানসহ নথিপত্র ফস্টারের কাছে জমা দিত। ফস্টার তখন ক্রেতাকে ফোন করে নিশ্চিত হতো তিনি টাকা বুঝে পেয়েছেন কি না। এরপর কিউকম পণ্যের টাকা বুঝে পেত।

কিন্তু কিউকম গ্রাহকের পণ্য ঠিকমতো বুঝিয়ে না দেয়ায় ফস্টার বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘প্রুফ অব ডেলিভারি’ নির্দেশনা অনুযায়ী তাদের টাকা আটকে দেয়। ফলে ক্রেতা পণ্য বা টাকা কোনোটাই আর পায়নি।

এ জাতীয় আরো সংবাদ