দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে ৮২ শতাংশের শরীরে ওমিক্রন ধরন শনাক্ত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে জিনোম সিকোয়েন্সিং রিসার্চ প্রজেক্টের ফলাফল প্রকাশ করে এ দাবি করেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়।
সংবাদ সম্মেলনে গবেষণার প্রধান পৃষ্ঠপোষক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ জানান, গত এক মাসে (৯ জানুয়ারি থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি) বিএসএমএমইউতে চিকিৎসা নেওয়া করোনারোগীদের জিনোম সিকোয়েন্সের ফলাফলে ৮২ শতাংশের শরীরে ওমিক্রন এবং ১৮ শতাংশের শরীরে ডেল্টা ধরন শনাক্ত হয়েছে।
তিনি জানান, এই সময়ে ওমিক্রনের তিনটি সাব-ভ্যারিয়েন্ট পরিলক্ষিত হয়েছে। সেগুলো হল- BA.1, BA.1.1, BA.2। এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ভাষ্যমতে BA.2 বেশি সংক্রামক।
বিএসএমএমইউ উপাচার্য আরও জানান, ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের চেয়ে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে অনেক বেশি সংক্রামক। ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের জেনোমে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের চেয়ে বেশি মিউটেশন পাওয়া গেছে, যার বেশির ভাগ ভাইরাসটির স্পাইক প্রোটিনে হয়েছে। এই স্পাইক প্রোটিনের ওপর ভিত্তি করে বেশির ভাগ ভ্যাকসিন তৈরি করা হয়ে থাকে। আর স্পাইক প্রোটিনের গঠনগত বদলের জন্যই প্রচলিত ভ্যাকসিনেশনের পরেও ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়।