1. successrony@gmail.com : Mehedi Hasan Rony :
  2. arif_rashid@live.com : Arif Rashid : Arif Rashid
  3. meherunnesa3285@gmail.com : Meherun Nesa : Meherun Nesa
বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৩০ অপরাহ্ন

চট্টগ্রামকে উড়িয়ে ফাইনালে কুমিল্লা

দিনলিপি নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২২
  • ১৯৭ বার

বিপিএলের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ৭ উইকেটে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস। চট্টগ্রামের দেয়া ১৪৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৪৩ বল ও ৭ উইকেট হাতে রেখেই জয় বাগিয়ে নেয় কুমিল্লা।

এই জয়ের সুবাদে ফাইনালে সাকিব আল হাসানের ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে খেলবে ইমরুল কায়েসের কুমিল্লা।শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দিনের একমাত্র ম্যাচে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নামে চট্টগ্রাম। ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দুর্দান্ত হলেও সুসময় বেশিক্ষণ থাকেনি চট্টলার দলটির।

ম্যাচের চতুর্থ ওভারে দলীয় ৩১ রানে উইল জ্যাকসের বিদায়ের মধ্য দিয়ে ধ্বস নামে চট্টগ্রামের শিবিরে। এক মঈন আলির স্পিন ঘুর্ণিতেই স্কোরবোর্ডে ৫০ রান তুলতেই পাঁচ উইকেট হারায় আফিফ হোসেনের দল।

এরপর ধসে পড়া ইনিংস মেরামতের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন মেহেদী হাসান মিরাজ। সঙ্গে নেন আকবর আলিকে। দুইজনের অবিচ্ছেদ্য ৬১ রানের জুটিতে খেই ফিরে পায় চট্টগ্রাম।কিন্তু দলীয় ১১১ রানে ২০ বলে ৩৩ রানের ইনিংস খেলে আবু হায়দার রনির শিকার হয়ে ফেরেন আকবর।তবে উইকেট আগলে রেখে লড়াই চালিয়ে যেতে থাকেন মিরাজ। তার ৩৮ বলে ৩৪ রানের ইনিংসে ভর করে সবগুলো উইকেটের খরচায় ১৪৮ রানের পুঁজি নিয়ে মাঠ ছাড়ে চট্টগ্রাম।

কুমিল্লার হয়ে তিনটি করে উইকেট নেন মঈন আলি ও শহিদুল ইসলাম। একটি করে উইকেট যায় রনি, মুস্তাফিজুর রহমান ও তানভীর ইসলামের ঝুলিতে।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের প্রথম বলেই রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফিরে যান লিটন দাস। বিপর্যয় এড়াতে দলকে টেনে তোলার গুরুভার কাঁধে তুলে নেন সুনিল নারাইন। সঙ্গে নেন ইমরুল কায়েসকে।নাইট ওয়াচম্যান হিসেবে নেমে শেরে বাংলায় ঝড় তোলেন নারাইন। চার ছক্কার ফুলঝুরি ছুটিয়ে ১৩ বলে তুলে নিয়েছেন দুর্দান্ত এক অর্ধশতক।

এর মাধ্যমে বিপিএলের দ্রুততম অর্ধশতকের রেকর্ড নিজের নামে করে নিলেন ক্যারিবীয় এই ক্রিকেটার। একই সঙ্গে এটি চলতি বিপিএলেরও দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরি।

এর আগে এই রেকর্ডটি ছিল আহমেদ শেহজাদের। বিপিএলের প্রথম আসরে দুরন্ত রাজশাহীর বিপক্ষে ১৬ বলে তিনি হাকিয়েছিলেন দুর্দান্ত সেই অর্ধশতক।

নারাইনের রেকর্ডগড়া এই হাফ সেঞ্চুরিতে ছিল ৬টি ছক্কা ও ৫টি চারের মার।

১৬ বলে ৫৭ রান করে মৃত্যুঞ্জয়ের হাতে ধরা দিয়ে যখন তিনি থামেন সে সময় তার স্ট্রাইক রেট ছিল ৩৫৬.৫। যা কিনা চলতি বিপিএলে তার সেরা।

২৪ বলে ২২ করে বিদায় নেন ইমরুলও। বাকি কাজটা সারেন ফাফ ডু প্লেসি ও মঈন আলি মিলে। দুজনেরই অপরাজিত থাকেন ৩০ রান করে। তাদের এই ইনিংসে ভর করে ৪৩ বল হাতে রেখেই ফাইনাল নিশ্চিত করে কুমিল্লা।

এ জাতীয় আরো সংবাদ