রেলমন্ত্রীর আত্মীয় পরিচয়ে বিনা টিকিটে ট্রেন ভ্রমণকারী যাত্রীদের জরিমানা করায় ভ্রাম্যমাণ টিকিট পরিদর্শক শফিকুল ইসলামের (টিটিই) বরখাস্ত আদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে।
শফিকুলকে তড়িঘড়ি বরখাস্তের আদেশ দেওয়া বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (ডিসিও পাকশী) নাসির উদ্দিনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
রেলমন্ত্রী বলেন, টিকিট ছাড়া যাত্রী ভ্রমণ ও এই নিয়ে জটিলতায় যে তার আত্মীয় জড়িত তা তিনি জানতেন না। গণমাধ্যম থেকে ফোন করার পর তিনি পরে জানতে পেরেছেন।
তিনি বলেন, ‘ভুলভ্রান্তি হলে মানুষ তো সেভাবেই দেখবে। এখানে যদি দেখা যায় আমার স্ত্রী কোনো দোষ করে থাকে, ইয়ে করে থাকে, আমার কোনো ইনভলভমেন্ট এখানে ছিল না। বলা হচ্ছে যে মন্ত্রীর কারণে এমনটা ঘটছে। আমার যদি কিছু করার থাকত তাহলে তো সরাসরিই করতে পারতাম। কারও সাহায্যের তো দরকার হবে না। মেসেজটা যেভাবে গেছে সেটা সঠিক না।’
তিনি বলেন, টিটিই শফিকুল ইসলাম সেদিন তার দায়িত্বই সঠিকভাবে পালন করেছেন। টিটিইর কাজ হলো রেলে শৃঙ্খলা আনা। তার কাজই তো রেলে যাত্রীদের সহযোগিতা করা, তাকে সাহায্য করা, সঠিক জায়গায় সেবা দেওয়া। রেলের লোকদের দায়িত্বই সেটা। এখন যেভাবে ঘটেছে ঘটনাটি, তাতে আমরা বিব্রত ।
আন্তঃনগর ‘সুন্দরবন এক্সপ্রেস’ ট্রেনে গত ৪ মে রাতে পাবনার ঈশ্বরদী থেকে ঢাকাগামী তিনজন যাত্রী বিনা টিকেটে এসি কেবিনে ভ্রমণ করছিলেন। এসময় তারা নিজেদের রেলমন্ত্রীর আত্মীয় বলে পরিচয় দেয়। পরে ওই তিন যাত্রীকে জরিমানা করেন কর্তব্যরত টিটিই শফিকুল ইসলাম। এ ঘটনায় পরদিন তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলে বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।এরপর রেলমন্ত্রীর স্ত্রীর নির্দেশে টিটিইর বরখাস্তের আদেশ হয়েছে বলে দাবি করেছে ওই যাত্রীদের পরিবার। ওই যাত্রীরা রেলমন্ত্রীর স্ত্রী শাম্মী আক্তারের নিকটাত্মীয়।