রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গাম্বিয়ার মামলার দ্বিতীয় দিনের শুনানি শুরু; আদালতে নিজের সাফাই তুলে ধরছেন সু চি।
নেদারল্যান্ডসে দ্য হেগের পিস প্যালেসে বাংলাদেশ সময় দুপুর তিনটায় শুরু হয় শুনানি। নিজের এবং মিয়ানমারের পক্ষে আজ বুধাবার বক্তব্য তুলে ধরবেন সে দেশের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চি।
এর আগে, রোহিঙ্গা গণহত্যায় খোদ সু চি’র সমর্থন রয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়। এদিকে, চূড়ান্ত রায়ের আগে রোহিঙ্গাদের সুরক্ষায় অন্তর্বর্তী নির্দেশ দিতে পারে আদালত। ২০১৭ সালের ২৫শে আগস্ট, রাখাইনে পুলিশের চৌকিতে কথিত হামলার পর রোহিঙ্গা গ্রামে সেনা অভিযান শুরু করে মিয়ানমার। দুই সপ্তাহের ওই অভিযানে অন্তত এক হাজার মানুষ নিহত হয়েছে বলে দাবি জাতিসংঘের।
এদিকে, মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চিকে গণহত্যাসহ রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত সব অপরাধ স্বীকার করার আহ্বান জানিয়েছেন সাত নোবেলজয়ী। সু চি মিয়ানমার সেনাবাহিনীর পক্ষ নেয়ায় উদ্বেগও প্রকাশ করেছেন তারা। মিয়ানমারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ায় গাম্বিয়ার প্রশংসা করে সু চিকে রোহিঙ্গাদের প্রতি ব্যক্তিগত ও নৈতিক দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান তারা।
সাত নোবেলজয়ী হলেন: শিরিন এবাদি, লেমাহ গোবোই, তাওয়াককুল কারমান, মারিদ মাগুইর, রিগোবার্তা মেনচু তুম, জোদি উইলিয়ামস এবং কৈলাস সত্যার্থী।