প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ফেব্রুয়ারি মাসেই কোভ্যাক্সের টিকা আসবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আব্দুল মান্নান। তিনি বলেন, ‘এ মাসের শেষের দিকে দেশে কোভ্যাক্সের এক লাখ ৩১ হাজার ডোজ টিকা আসবে, যা বিনামূল্যে মিলছে।’
মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে টিকাদান পরিদর্শন করতে গিয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান। এসময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশিদ আলম উপস্থিত ছিলেন।
কোভ্যাক্স হলো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিনস অ্যান্ড ইমিউনাইজেশনস বা গ্যাভি এবং কোয়ালিশন ফর এপিডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস ইনোভেশনসের গড়া প্ল্যাটফর্ম। বিশ্বের সব মানুষের সংক্রামক রোগের প্রতিষেধক পাওয়া নিশ্চিত করতে এ জোট গঠিত হয়েছে।
স্বাস্থ্য সচিব বলেন, ‘টিকা নিয়ে মানুষের ভয়-ভীতি দূর হচ্ছে। টিকা দেওয়ার ঝামেলা নেই। গতকাল পর্যন্ত ৭৮ হাজার টিকা দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছেন ৬ লাখ মানুষ।’
স্বাস্থ্য মহাপরিচালক বলেন, ‘তৃতীয়দিনের মতো সারাদেশে করোনার ভ্যাকসিন কার্যক্রম চলছে। রাজধানীতে ভ্যাকসিন গ্রহণে জনগণের আগ্রহ বেড়েছে।’
টিকার অপচয় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন স্থানে টিকার অপচয় এখনও পর্যন্ত ১০ শতাংশ ছাড়ায়নি। ১০ শতাংশ অপচয় ধরেই টিকা আনা হয়েছে। এ পর্যন্ত তা পেরোয়নি।’
গত ৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকা পোস্টকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. খুরশীদ আলম জানিয়েছিলেন, ‘করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বাংলাদেশকে ফাইজারের নয়, বরং অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাই দিচ্ছে কোভ্যাক্স। জোটটি প্রথম পর্যায়ে ১ কোটি ২৭ লাখ ডোজ টিকা দেবে, যার ৫০ লাখ ডোজ আগামী মার্চেই আসতে পারে।’
তখন তিনি বলেন, ‘কোভ্যাক্স এক চিঠিতে জানিয়েছে বাংলাদেশকে তারা অক্সফোর্ডের টিকা দেবে। ফাইজারের টিকা পেলে তা সংরক্ষণের জন্য আমাদের খুব সমস্যায় পড়তে হতো। এখন অক্সফোর্ডের অক্সফোর্ডের টিকা দিলে আমাদের জন্য ভালো হবে।’
এর আগে ফাইজারের তৈরি করা টিকা বাংলাদেশ নেবে কি-না, তা জানতে চেয়ে গত মাসে চিঠি দিয়েছিল কোভ্যাক্স। তাদের চিঠিতে বাংলাদেশ ফাইজার-বায়োএনটেকের করোনার টিকা নিতে চাইলে ১৮ জানুয়ারির মধ্যে জানাতে বলা হয়েছিল। জবাবে বাংলাদেশ সরকার ওই টিকা নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে।