সুনামগঞ্জের দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার জামলাবাজ গ্রামে জানাজার আগে মৃত ব্যক্তির শ্বাস নেওয়ার খবরে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। পরে ওই ব্যক্তিকে নেওয়া হয় হাসপাতালে। তবে চিকিৎসক তাকে মৃত বলেই ঘোষণা করেন। পরে বৃহস্পতিবার (০৮ জুলাই) রাতে তার দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
জামলাবাজ গ্রামের মৃত মালদার আলীর ছেলে আব্দুল হাফিজের (৩৮) মরদেহ নিয়ে এমন চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, আব্দুল হাফিজ পেশায় ধান ব্যবসায়ী। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় আব্দুল হাফিজ জামলাবাজ গ্রামে ধান ওজন করতে গেলে তার বুকে ব্যথা অনুভূত হয়। পরে তাকে পারিবারের লোকজন স্থানীয় নোয়াখালী বাজারে নিয়ে গেলে পল্লী চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর পরিবারের পক্ষ থেকে তার দাফনের প্রস্তুতি নেওয়া হয। আসরের নামাজের পর গ্রামের ঈদগাহে জানাজার নামাজ শেষে তার দাফন সম্পন্ন হওয়ার কথ ছিল।
জানাজা শুরুর আগে মুসল্লিরা মরদেহ দেখেন। তখন একজন বলেন, মরদেহের মুখ থেকে লালা পড়ছে। তার শ্বাস আছে। পরে তাকে দ্রুত স্থানীয় নোয়াখালী বাজারের একটি ফার্মেসিতে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিন্তু হাসপাতালের চিকিৎসক জানান- হাফিজ মৃত। পরে মরদেহ আবার গ্রামে এনে রাতেই দাফন করা হয়।
জয়কলস ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মহিম আহমদ জানান, তিনি জানাজার নামাজে ছিলেন। তবে হাফিজের জীবিত থাকা ও শ্বাস নেওয়ার বিষয়টি তিনি নিজে দেখেননি।
তিনি বলেন, অনেকেই শ্বাস নেওয়ার বিষয়টি দেখেছে। এ কারণে আমরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলাম। পরে ডাক্তার মৃত বলার পর রাতে গ্রামে এনে দাফন করেছি।
সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার সৈকত দাশ বলেন, আমাদের কাছে ওই ব্যক্তিকে মৃত অবস্থায় নিয়ে আসা হয়েছিল।