1. successrony@gmail.com : Mehedi Hasan Rony :
  2. arif_rashid@live.com : Arif Rashid : Arif Rashid
  3. meherunnesa3285@gmail.com : Meherun Nesa : Meherun Nesa
শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০৭:৪৫ পূর্বাহ্ন

সিলভেস্টার স্ট্যালোনও আইনি লড়াইয়ে হেরেছিলেন অস্ট্রেলিয়ায়

দিনলিপি নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ২০ জানুয়ারী, ২০২২
  • ১৫২ বার

টেনিস সুপারস্টার নোভাক জোকোভিচের অস্ট্রেলিয়ার ভিসা বাতিল এবং তাকে দেশটিতে থেকে চলে যেতে বাধ্য করার আগে প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বারবার বলেছেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার আইন সবার জন্য সমান। কোনো বিশেষ ব্যক্তির জন্য এখানে আইন বিশেষভাবে প্রয়োগ হয় না।’

তার এই বক্তব্য যে কেবল ‘কথার কথা’ নয় তার প্রমাণ মিলেছে বহুবার।

২০০৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে ‘র‍্যাম্বো’ এবং ‘রকি’ খ্যাত হলিউড সুপারস্টার সিলভেস্টার স্ট্যালোন অস্ট্রেলিয়ায় এসে আইনের মুখোমুখি হয়েছিলেন।

সিডনিতে ৩ দিনের সফরের শুরুতে এয়ারপোর্টে স্ট্যালোনের লাগেজ তল্লাশির পর মানব শরীর বৃদ্ধির হরমোনের ওষুধ জিনট্রোপিনের ৪৮টি শিশি পাওয়া যায়।

‘হিউম্যান গ্রোথ হরমোন’ একটি প্রাকৃতিকভাবে উদ্ভূত পদার্থ, যা কৃত্রিমভাবে পেশি তৈরি করতে ব্যবহার করা হয়। অস্ট্রেলিয়ায় এই ওষুধ জাতীয় ওষুধ নিয়ন্ত্রক ও থেরাপিউটিক গুডস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের অনুমতি ছাড়া আমদানি করা নিষিদ্ধ। লাইসেন্স ছাড়া জিনট্রোপিন অস্ট্রেলিয়ায় আনার সর্বোচ্চ শাস্তি ১ লাখ ১০ হাজার ডলার আর্থিক জরিমানা এবং ৫ বছরের জেল৷

এ বিষয়ে সিলভেস্টার স্ট্যালোনের বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়ার আদালতে অভিযোগ গঠন করা হয়। নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের ডেপুটি চিফ ম্যাজিস্ট্রেট পল ক্লোরান অভিনেতা স্ট্যালোনকে অস্ট্রেলিয়া ত্যাগের এবং তার আইনজীবীর মাধ্যমে মামলা পরিচালনার নির্দেশ দেন।

আদালতে সরকারি আইনজীবী বলেছিলেন, স্ট্যালোন জিনট্রোপিনের জন্য প্রেসক্রিপশন আছে দাবি করে কাস্টমসকে প্রতারিত করার চেষ্টা করেন।

তিনি আরও বলেন, তার কাছে অবৈধ কিছু আছে কি না এর উত্তরে স্ট্যালোন কাস্টমস ফর্মে ‘না’ টিক চিহ্ন দিয়েছেন। সিলভেস্টার স্ট্যালোনের আইনজীবী ফিলিপ বোল্টেন আদালতের শুনানিতে বলেন, এই জিনিসগুলো তার বার্ধক্যজনিত শরীরকে দেখতে সুন্দর করে৷ তিনি অস্ট্রেলিয়ার ইমিগ্রেশন আইন বিষয়ে অজ্ঞ ছিলেন।

স্ট্যালোন আমেরিকায় ফিরে এক চিঠিতে তার আইনজীবীর মাধ্যমে দোষ স্বীকার করে আদালতে ক্ষমা প্রার্থনা করে বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়ায় নিষিদ্ধ পেশি নির্মাণকারী পদার্থ আমদানির জন্য ক্ষমা চাই। আমি বছরের পর বছর ধরে চিকিৎসার জন্য এই ওষুধ খেয়ে আসছি। তবে সেগুলো অস্ট্রেলিয়ায় নেওয়া ছিল একটি “ভয়ানক ভুল”।’

স্ট্যালোনকে আদালত অভিযুক্ত করে ২ হাজার ৫০০ ডলার জরিমানা করেন এবং শুনানির খরচ হিসেবে কাস্টমসকে ৮ হাজার ৩০০ ডলার দেওয়ার নির্দেশ দেন। তখন স্ট্যালোন আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।

আকিদুল ইসলাম: অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী লেখক, সাংবাদিক

সুত্রঃ ডেইলী স্টার

এ জাতীয় আরো সংবাদ