আজ রোবাবার সকালে বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলায় জমিসংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ছুরিকাঘাতে এক কলেজছাত্র খুন হয়েছেন। উপজেলার নিয়ামতি ইউনিয়নের ছোট পুইয়াউটা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের নাম সজিব কারিগর। সে ওই গ্রামেরই রাজ্জাক কারিগরের ছেলে ও মহেশপুর ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী।
এ ঘটনায় হামলাকারী শুভ্রত সরকারসহ (১৮) আটজনকে আটক করে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ।
স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার নিয়ামতি ইউনিয়নের ছোট পুইয়াউটা গ্রামের সজিব কারিগরের বাবা রাজ্জাক কারিগরের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে একই গ্রামের পরিমল সরকার ও সকানাথদের জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। রোববার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে সকানাথরা ওই বিরোধ থাকা জমির মাটি কাটতে শুরু করেন।
এ খবর জানতে পেরে নিহত সজিবের চাচা তৈয়ব আলী কারিগর ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের মাটি কাটতে বাধা দেন। এতে সকানাথ ও পরিমল সরকাররা ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে তার ওপর হামলা করেন। বিষয়টি জানতে পেরে সজিব তার চাচাতো বোন সাজেদা (৩৪) ও ভগ্নিপতিকে নিয়ে তাকে বাঁচাতে গেলে শুভ্রত সরকার তার বুকে ছুরিকাঘাত করেন। এতে ঘটনাস্থলেই সজীবের মৃত্যু হয়।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী নিহত সজিবের চাচাতো বোন সাজেদা বেগম বলেন, আমাদের সামনেই শুভ্রত সজীবকে ছুরি মেরে রক্তাক্ত করে। এ সময় পবিত্র চক্রবর্তী নামে একটি ছেলে ভিডিও করছিল। আমরা সজিবকে বাঁচানোর জন্য বারবার অনুরোধ জানালেও সে কর্ণপাত না করে হত্যাকাণ্ডের ভিডিও করে।
সাজেদা বেগম এ হত্যাকাণ্ডে সহায়তার অভিযোগে পবিত্র চক্রবর্তীকে আটক করে ওই ভিডিও উদ্ধারের দাবি জানান। ঘটনার পরপর বরিশালের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার রকিব আহমেদ ও সহকারী পুলিশ সুপার সদর সার্কেল আনোয়ার সাঈদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। খন্দকার রশিদ আহমেদ বলেন, কলেজছাত্র সজীবের হত্যাকারী কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। অপরাধী যেই হোক তাকে আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করা হবে।