1. successrony@gmail.com : Mehedi Hasan Rony :
  2. arif_rashid@live.com : Arif Rashid : Arif Rashid
  3. meherunnesa3285@gmail.com : Meherun Nesa : Meherun Nesa
বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৯:৫৭ পূর্বাহ্ন

ওমানের রাস্তায় প্রাণ গেলো ৫ বাংলাদেশির

দিনলিপি নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২০
  • ৪০৭ বার

ওমানে সড়ক দুর্ঘটনায় পাঁচ বাংলাদেশি প্রবাসী নিহত হয়েছেন। নিহত ৫ জনের মধ্যে ৩ জন মৌলভীবাজার জেলার।

রোববার স্থানীয় সময় বিকাল সাড়ে ৪টায় (বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা) দেশটির আদম এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন তারা। নিহতের খবর প্রবাসী বাংলাদেশিদের বাড়িতে পৌঁছলে শুরু হয় শোকের মাতম।

মর্মান্তিক এ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত পাঁচ বাংলাদেশির মধ্যে মৌলভীবাজারের তিনজন হলেন- কুলাউড়া উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের বিলেরপার গ্রামের লিয়াকত আলী (৩৫), শরীফপুর ইউনিয়নের সঞ্জরপুর গ্রামের সবুর আলী (৩৩) ও কমলগঞ্জ উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নের চিতলীয়া বাজারের টিলালাইন এলাকার আলম আহমদ (৩৫)। বাংলাদেশি অপর দুই জনের পরিচয় পাওয়া যায়নি এখনো।

নিহতদের স্বজনদের সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় কাজ শেষে বাইসাইকেলযোগে নিজ নিজ বাসায় ফিরছিলেন তারা। পথে দ্রুতগতির প্রাইভেটকারের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই চার বাংলাদেশির মৃত্যু হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় একজনকে হাসপাতালে নেয়ার পর মারা যান তিনিও।

কমলগঞ্জ উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নের নিহত আলমের ছোট ভাই ওয়াসিম বলেন, আমার বড় ভাই পরিবারের স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনার আশায় বাড়িতে স্ত্রী ও ২ সন্তানকে রেখে ধার-দেনা করে ৬ মাস আগে ওমানে যান। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস, পরিবারের স্বচ্ছলতার জায়গায় আজ আহাজারির মাতম।

নিহত আলমের স্ত্রী নাসিমা বেগম বলেন, প্রবাস আমার সংসার জীবনকে তছনছ করে দিয়েছে। ধার-দেনা করে আমার স্বামী বিদেশে গিয়েছিলেন পরিবারের স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে। এখন এই ধারদেনা কিভাবে পরিশোধ করবো।

এদিকে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত আলম আহমদ পরিবারেও থামছে না কান্নার রোল। স্থানীয় ইউপি সদস্য শামীম আহমদ জানান, আব্দুল বাছিতের ছেলে আলম আহমদ ৫ মাস আগে ওমানে যান। তার স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।

কুলাউড়া উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের লিয়াকত আলীর চাচা মাসুদুর রহমান জানান, বিলেরপার গ্রামের মুসলিম আলীর ছেলে লিয়াকত প্রায় ৪ বছর আগে ওমানে যান। তার স্ত্রী ও ৯ বছর বয়সের এক সন্তান রয়েছে। সেখানে কনস্ট্রাকশনের কাজ করে পরিবার চালাতো লিয়াকত। পাসপোর্ট নবায়ন করে দুই মাস পরে দেশে আসার কথা ছিল। তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে লিয়াকত সবার ছোট। তার মৃত্যুতে পরিবারে গভীর শোক বিরাজ করছে।

কুলাউড়া উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের সঞ্জরপুর গ্রামের নিহত সবুর আলীর মামাতো ভাই কামাল খান বলেন, গ্রামের আব্দুস শহীদের ছেলে সবুর আলী ১০ বছর ধরে ওমান ছিলো। দুই বছর আগে দেশে আসে একবার। কিছুদিন থাকার পর আবার ওমান পাড়ি জমায়। তার মা আছেন, বাবা নেই। চার ভাই ও চার বোনের মধ্যে সে তৃতীয়। নিহত সবুরের ২ মেয়ে ১ ছেলে রয়েছে।

হাজীপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল বাছিত বাচ্চু বলেন, আমার ইউনিয়নের লিয়াকত আলীসহ নিহত তিনজনের লাশ যাতে দ্রুত দেশে ফিরে আসে, সেজন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

এ জাতীয় আরো সংবাদ