1. successrony@gmail.com : Mehedi Hasan Rony :
  2. arif_rashid@live.com : Arif Rashid : Arif Rashid
  3. meherunnesa3285@gmail.com : Meherun Nesa : Meherun Nesa
রবিবার, ২১ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৪৩ অপরাহ্ন

রেড জোনে খাবার-ওষুধ পৌঁছে যাবে গরিবের ঘরে

দিনলিপি নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ৯ জুন, ২০২০
  • ৬৩০ বার

করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা জোনভিত্তিক ভাগ করে ১৪ থেকে ২১ দিন পর্যন্ত লকডাউনে রাখা হবে। পরীক্ষামূলকভাবে এমন লকডাউন ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরের কয়েকটি এলাকায় করা হচ্ছে। শহরে এর কার্যকারিতা দেখে দেশব্যাপী প্রয়োগের চিন্তা করবে সরকার। যদি দেখা যায় অবস্থার উন্নতি হচ্ছে তাহলে লকডাউনের সীমা বাড়ানো হবে না। সংক্রমণ যদি ঊর্ধ্বগামী হয় তাহলে লকডাউনের সীমা বাড়তে পারে।

সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ রেড জোনে যদি কোনো বস্তি থাকে তাহলে বস্তিবাসীদের লকডাউন সময়ের জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সহায়তা দেবে সরকার। এ ছাড়া লকডাউনের কারণে হঠাৎ কর্মহীন হয়ে পড়া সংশ্লিষ্ট এলাকার লোকদের জন্যও খাবার সংস্থান করা হবে। এই দায়িত্ব পালন করবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। রেড জোনে থাকা বাসিন্দাদের কঠোরভাবে বাড়ির মধ্যে থাকতে বাধ্য করা হবে। অফিস, কলকারখানা একবারে বন্ধ থাকবে। তাদের প্রয়োজনীয় মনিহারি দ্রব্য, ওষুধসহ অন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি বাসায় বাসায় পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। এর জন্য স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী গঠন করা হবে প্রতিটি ওয়ার্ডে। স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে এই কাজ সম্পন্ন হবে।

কোনো যানবাহন চলবে না। তবে রাতের বেলায় পণ্যবাহী যান চলাচল করতে পারবে। এক কথায় রেড জোনে যারা পড়বে তারা ঘর থেকে বের হতে পারবে না। এই এলাকা থেকে বের হয়ে অফিসও করা যাবে না। রেড জোনে থাকার কারণে কোনো চাকরিজীবী ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। কারণ এটি সরকারের ঘোষিত সাধারণ ছুটির আওতায় থাকবে।

জোনভিত্তিক কার্যক্রম পরিচালনায় দুটি কমিটি হবে। মহানগরগুলোতে কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপনার ১০ সদস্যের কমিটিতে নেতৃত্ব দেবেন সংশ্লিষ্ট সিটি মেয়র। সদস্যসচিব থাকবেন সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা। করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, ডিএমপি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, জেলা প্রশাসন, এটুআই, সিটি করপোরেশনের সিস্টেম এনালিস্ট, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলর, এনজিওর উপযুক্ত প্রতিনিধিরা কমিটিতে সদস্য হিসেবে থাকবেন।

লকডাউন কার্যকর করতে বিস্তারিত প্রস্তাব গত রবিবার প্রধানমন্ত্রীর কাছে জমা পড়ে। ওই দিন রাতেই প্রধানমন্ত্রী তাতে সম্মতি জানান। গতকাল সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠকের পর প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদসচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এটা অ্যাপ্রিশিয়েট করেছেন।’ প্রধানমন্ত্রীর বরাত দিয়ে তিনি জানান, আইটি ব্যবহার করে সারা পৃথিবীতে জোনিং হচ্ছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এসংক্রান্ত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে। সংক্রামক ব্যাধি আইন অনুযায়ী বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর দায়িত্বপ্রাপ্ত। এরই মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের পূর্ব রাজাবাজার এলাকা আজ মঙ্গলবার রাত থেকে লকডাউনে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কমিশনার ফরিদুর রহমান খান। তিনি বলেন, প্রথম দিকে ১৪ দিনের জন্য লকডাউন হচ্ছে। পরে প্রয়োজন হলে আরো সাত দিন বাড়ানো হবে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ওয়ারী এলাকাও লকডাউন করার কথা। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়নি।

এ জাতীয় আরো সংবাদ