1. successrony@gmail.com : Mehedi Hasan Rony :
  2. arif_rashid@live.com : Arif Rashid : Arif Rashid
  3. meherunnesa3285@gmail.com : Meherun Nesa : Meherun Nesa
বুধবার, ১৩ মার্চ ২০২৪, ১০:৪৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
রোজায় স্কুল বন্ধ রাখার আদেশ বহাল, আপিল শুনানি মঙ্গলবার ফলের গায়ে শুল্কের আগুন, ইফতারের প্লেটে উঠবে না সবার যেখানেই যাই শুনি হাসপাতালে ডাক্তার থাকে না : স্বাস্থ্যমন্ত্রী ভারতকে হারিয়ে সাফের ফাইনালে বাংলাদেশ আগুনে পোড়া ভবনে মানুষের আতঙ্কভরা চোখ অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশ জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের আয়োজনে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপিত প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ ও আমার কিছু কথা।। মোহাম্মদ রোমান হাওলাদার সিরাজদিখানে চাপাতির ভয় দেখিয়ে মোবাইল ছিনতাই, ছাত্রলীগ সভাপতির ভাইসহ গ্রেফতার-৪ সিরাজদিখানে শহীদ মিনারে ফুল দেয়াকে কেন্দ্র করে যুবলীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে মারামারি,ছবি তোলায় দুই সাংবাদিকে পিটিয়ে আহত! সিরাজদিখান প্রেসক্লাবের দুই বছর মেয়াদে নির্বাচন সম্পন্ন সভাপতি মোক্তার সম্পাদক মাসুদ!

সিরাজদিখান সাব রেজিষ্ট্রি অফিসে সক্রিয় প্রভাবশালী জালিয়াতি চক্রের দৌরাত্ম!

মোহাম্মদ রোমান হাওলাদার
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ৫ নভেম্বর, ২০২২
  • ১০৯ বার

মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে জাল জালিয়াতি চক্রের একাধিক সক্রিয় সদস্যের বিরুদ্ধে দূর্নীতি সহ নানা অপকর্মের অভিযোগ উঠেছে। চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে জাল জালিয়াতির মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। অফিসের নকলনবিশ থেকে শুরু করে দলিল লেখক ও দলিল লেখক সমিতির একাধিক ব্যক্তি এ চক্রের সাথে সরাসরি জড়িত থেকে অপকর্মের সহযোগীতা করার প্রমাণ মিলেছে। ফলে চরম দুর্নীতি ও অনিয়মের আখড়ায় পরিণত হয়েছে সিরাজদিখান সাব-রেজিষ্ট্রি অফিস।

চক্রের জাল জালিয়াতি ও অপকর্মের বিষয়টি অফিস ও দলিল লেখকদের কাছে ওপেন সিক্রেট হলেও চক্রটির ভয়ে কেউ মুখ খুলতে নারাজ। চক্রের মূল হোতা স্থানীয় প্রভাবশালী নেতাদের সাথে সখ্যতা বজায় রেখে গোপনে সহযোগী দিয়ে অপকর্মের রাম রাজত্ব কায়েম করেছে মর্মে অভিযোগ রয়েছে।

গোপন সূত্রে জানা যায়, জাল জালিয়াত চক্রের অন্যতম সদস্য সিরাজদিখান সাব রেজিষ্ট্রি অফিসের সরকারী বেতনভুক্ত এক নকলনবিশের নাম উঠে এসেছে। পদবী অনুসারে তার নকল লেখার কথা থাকলেও আতাত করে সাব রেজিষ্ট্রারের নাম ভাঙিয়ে অনেকটা দাপটের সাথে অপকর্ম করে বেড়াচ্ছেন তিনি। এমনটাই অভিযোগ দলিল লিখকদের। খাজনার রশিদ (ডিসিআর) ও নামজারীর পর্চা জালিয়াতির মাধ্যমে একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়ে কয়েক বছরে আঙুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছেন ওই নকলনবিশ । মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে সরকারী বেতনভুক্ত ওই কর্মচারীর জালিয়াতি ও দুর্ণীতির চুক্তির একাধিক কথপোকথন এরই মধ্যে প্রতিবেদকের হাতে এসেছে। অপরদিকে চক্রের অন্য আরেক সদস্য দলিল লিখক সমিতির সভাপতি আমির হোসেনের ছেলের বিরুদ্ধে সম্প্রতি খাজনার রশিদ জালিয়াতি করে ধরা পরার অভিযোগ উঠে। তবে আমির হোসেন প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দিয়েছে মর্মে অফিস সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়।

এদিকে জাল জালিয়াতি করে জনগণের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিয়ে আঙুল ফুলে কলাগাছ বনে যাচ্ছে জালিয়াতি চক্রের সদস্য বেশ কয়েকজন দলিল লিখকও। প্রভাবশালী অপরাধী চক্রটি সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, কর্মচারীদের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তুলে জালিয়াতির সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছে। মাঝে মধ্যে চক্রটির এসব দূর্ণীতি আর অপকর্ম প্রকাশ পেলেও অদৃশ্য শক্তির প্রভাবে সেসব অপকর্ম চাপা পরে যায়। সিরাজদিখান সাব রেজিস্ট্রি অফিসের একাধিক দলিল লিখক অভিযোগ করে বলেন,এ চক্রটির কারণে আমাদের কাজ কর্ম কমে যাচ্ছে। যে সব কাজ বৈধ ভাবে আমাদের করা সম্ভব না সেসব কাজ চক্রটির সদস্যরা মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে করে দিচ্ছে। মানুষ মোটা অঙ্কের টাকা দিয়েও কাজ হওয়ার কারণে তাদের কাছেই যাচ্ছে। ফলে আমাদের কাছে কোন কাজ নিয়ে কেউ আসছে না। এমন যদি চলতে থাকে তাহলে আমাদের এ পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় যাওয়া ছাড়া কোন উপায় থাকবে না। কয়েক বছর আগে জালিয়াতি একটি চক্রের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার পর কয়েকদিন অফিসটা ভালোভাবে চলেছিলো। অনেকদিন পর আবার সেই অপকর্ম শুরু হয়েছে। এতে রীতিমতো আমরা অতিষ্ট হয়ে উঠেছি। আমরা চাই চক্রটির মূল হোতাসহ সদস্যদের খুঁজে বের করে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে দূর্ণীতিহীন কাজের পরিবেশ সৃষ্টি করা হোক। এদিকে সাব রেজিস্ট্রি অফিসে জাল জালিয়াতির চক্রের বেশ কয়েকজন সদস্য প্রতিবেদককে ম্যানেজের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গকে দিয়ে ফোন করিয়ে সংবাদটি যাতে প্রকাশ না সে জন্য হুমকি দেয়। চক্রটির চিহ্নিত সদস্যদের নামের তালিকা ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জমা দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক দলিল লেখক বলেন, নকলনবিশ অমিত শেখ মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে দলিল রেজিষ্ট্রেশন করে দেয়। এমন অনেক ঘটনার অভিযোগ আছে। যার সবগুলোই প্রমানিত। সাব রেজিস্ট্রারের নাম ভাঙিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সে এসব করে চলেছে। অথচ স্যার এ বিষয়ে জানেনই না। অফিসের অধিকাংশ দলিল লেখক তাকে দেখতে পারে না।

সিরাজদিখান সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসের দলিল লেখক সমিতি’র সাধারণ সম্পাদক আল আমিন মুঠোফোনে বলেন,আমাদের স্থায়ী কোন রেজিষ্ট্রার ছিলো না। দু-একদিনের মধ্য নতুন রেজিষ্ট্রার নিয়োগ হবে। তার নকল লেখার হলেও সে স্যারে সহযোগী হিসেবে কাজ করে। আমরাও চাই সে যেন স্যারে সাথে সহযোগী হিসেবে না থাকতে পারে। তার অপকর্মেন ব্যপারে আর কি বলবো ভাই সবি আপনি জানেন। তবে এ ব্যপারে আমরা নতুন সাব রেজিষ্ট্রার আসলে আমরা অভিযোগ করবো। এ বিষয়ে অভিযুক্ত ওই নকলনবিশের মুঠোফোনে অভিযোগ সমূহের ব্যপারে জানতে চাইলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি কোন অপকর্ম করি না। আপনি আসেন প্রমান নিয়ে আমার কাছে। বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে ভিন্ন ভিন্ন অঙ্কের টাকা নিয়ে ডিসিআর ও পর্জা জাল করে রেজিষ্ট্রি করে দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোন সদুত্তর দিতে না পেরে এক পর্যায়ে চড়াও হয়ে প্রতিবেদকের সাথে কুরুচিপূর্ণ আচরণ করেন এবং সংবাদটি প্রকাশ পেলে মাললা করে দেখে নেওয়ার হুমকি প্রদান করে।

এ ব্যপারে মু্ন্সীগঞ্জ জেলা রেজিষ্ট্রার শেখ মহম্মদ হাবিবুল্লাহের মুঠোফোনে ভিন্ন ভিন্ন সময় একাধিকবার ফোন করলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায় নি।

 

এ জাতীয় আরো সংবাদ