1. successrony@gmail.com : Mehedi Hasan Rony :
  2. arif_rashid@live.com : Arif Rashid : Arif Rashid
  3. meherunnesa3285@gmail.com : Meherun Nesa : Meherun Nesa
শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৮:৩০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
চার দিনের সফরে চীনের পথে প্রধানমন্ত্রী বাকেরগঞ্জে সাংবাদিককে প্রাণনাশের হুমকি দিলেন আ’লীগ নেত্রী রাফির উপহার পেয়ে আবেগাপ্লুত তমা ক্ষুধা মেটেনি রিয়াল সভাপতির, নজর ১৬তম শিরোপায় আমরা দ্বিতীয় স্যাটেলাইটের প্রস্তুতি নিচ্ছি : প্রধানমন্ত্রী পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ত্রাণ বিতরণ করলেন প্রধানমন্ত্রী মাহিকে দুটি গাড়ি ও ফ্ল্যাট দিয়েছিলেন আজিজ এমপি আনারের বিষয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ৬ মাসে ১ দিন কিংবা সাপ্তাহে ১ দিন নয়,২৪ ঘন্টা আমি আপনাদের সেবায় নিয়োজিত থাকতে চাই-মঈনুল হাসান নাহিদ! সিরাজদিখানে ভাইস-চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী রফিকুল ইসলাম বাবুল এর ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়

অতিরিক্ত টাকা না দিলে ফাইল ছুড়ে ফেলে দেন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আব্দুস সামাদ!

মোহাম্মদ রোমান হাওলাদার
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২২
  • ১০৮ বার

জমির নামজারী করতে ১ হাজার ১৫০ টাকা ফি সরকার কর্তৃক নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু নেওয়া হচ্ছে ১০-১৫ হাজার টাকা। অতিরিক্ত টাকা না দিলে ফাইল ছুড়ে দেন । বলেন, যেখানে ১১ শত ৫০ টাকায় করাতে পারবেন সেখানে গিয়ে করেন! সম্প্রতি সিরাজদিখান উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়ন ভুমি সহকারী কর্মকর্তা আব্দুস সামাদের বিরুদ্ধে এমন বেশ কয়েকটি অভিযোগ উঠেছে।ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, সরকার নির্ধারিত “ফি”র পরিবর্তে প্রতি নাজমারীতে ভিন্ন ভিন্ন অঙ্কে টাকা দাবী করেন ভুমি সহকারী কর্মকর্তা আব্দুস সামাদ। অতিরিক্ত টাকা না দিলে ফাইল ছুড়ে ফেলে দেন। ফলে দিনের পর দিন ঘুরে নামজারী করাতে না পেরে বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত টাকা দিয়েই নামজারী করতে হচ্ছে তাদের।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে ইছাপুরা ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আব্দুস সামাদ সেবা গ্রহীতাদের কাছ থেকে ভিন্ন ভিন্ন অঙ্কের টাকা নিয়ে নামজারী করিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি কাঙ্ক্ষিত টাকা চেয়ে না পেয়ে সেবা গ্রহীতাদের ফাইল ছুড়ে ফেলে দেন এই কর্মকর্তা। স্থানীয় কয়েকজন দালালের মাধ্যমে ভুমি সহকারী কর্মকর্তার এমন ঘুষ বানিজ্যের কবলে পরে স্থানীয় জনসাধারণ অতিষ্ট হয়ে উঠলেও দেখার যেন কেউই নেই। সংশ্লিষ্ট উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা আব্দুস সামাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিলেও রহস্যজনক কারণে বাস্তবিক পক্ষে এ এযাবৎকাল পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। ফলে দিন দিন আরো বেপরোয়া হয়ে উঠছেন ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আব্দুস।

ভুক্তভোগী চন্দনধূল গ্রামের বাসিন্দা মোঃ কাইয়ুম সারেং অভিযোগ করে বলেন, আমি ৫ শতাং ১২ পয়েন্ট ও ১৪ শতাং ৭৫ পয়েন্ট দুটি জায়গার নামজারী করতে গেলে ইছাপুরা ভুমি অফিসের নায়েব আব্দুস সামাদ আমার কাছ থেকে দুই নামজারীতে ২০ হাজার টাকা চায়। আমি সরকারী ফি সাড়ে ১১ শত টাকার কথা বললে তিনি আমার ফাইল ছুড়ে ফেলে দিয়ে বলেন, এ টাকা দিয়ে যেখানে পারেন সেখানে গিয়ে করেন। আমার এখানে করলে আমি যা বলি তাই দিতে হবে। পরে বাধ্য হয়ে ২০ হাজার টাকা দিয়েই নামজারী করিয়েছি। শুধু আমি না ভাই এরকম বহু মানুষ এর চেয়ে বেশী টাকা দিয়েও নামজারী করায়। ইছাপুরা ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা অভিযুক্ত আব্দুস সামাদের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি, অতিরিক্ত টাকা ঘুষ গ্রহণের বিষয়টি অস্বীকার করেন।

এ ব্যপারে সিরাজদিখান উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাসনিম আক্তারকে অবগত করা হলে তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়ে ভুক্তভোগীকে তার কার্যালয়ে পাঠানোর জন্য অনুরোধ করেন।

এ জাতীয় আরো সংবাদ