1. successrony@gmail.com : Mehedi Hasan Rony :
  2. arif_rashid@live.com : Arif Rashid : Arif Rashid
  3. meherunnesa3285@gmail.com : Meherun Nesa : Meherun Nesa
মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই ২০২৪, ০২:১৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
চার দিনের সফরে চীনের পথে প্রধানমন্ত্রী বাকেরগঞ্জে সাংবাদিককে প্রাণনাশের হুমকি দিলেন আ’লীগ নেত্রী রাফির উপহার পেয়ে আবেগাপ্লুত তমা ক্ষুধা মেটেনি রিয়াল সভাপতির, নজর ১৬তম শিরোপায় আমরা দ্বিতীয় স্যাটেলাইটের প্রস্তুতি নিচ্ছি : প্রধানমন্ত্রী পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ত্রাণ বিতরণ করলেন প্রধানমন্ত্রী মাহিকে দুটি গাড়ি ও ফ্ল্যাট দিয়েছিলেন আজিজ এমপি আনারের বিষয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ৬ মাসে ১ দিন কিংবা সাপ্তাহে ১ দিন নয়,২৪ ঘন্টা আমি আপনাদের সেবায় নিয়োজিত থাকতে চাই-মঈনুল হাসান নাহিদ! সিরাজদিখানে ভাইস-চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী রফিকুল ইসলাম বাবুল এর ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়

জনস্বার্থে দেওয়া স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে সাংবাদিকের উপর হামলা! তৃণমূল সাংবাদিক মহল ক্ষুব্ধ।

দিনলিপি নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২২
  • ১২১ বার

মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে যাতায়াতের রাস্তা বন্ধ করে বেড়া দেওয়ার স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে স্থানীয় এক সাংবাদিকের উপর হামলা হয়েছে। গতকাল সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) বেলা পৌনে ১২ টার দিকে উপজেলার রশুনিয়া ইউনিয়নের চোরমর্দ্দন গ্রামের বাসিন্দা সাংবাদিক মোহাম্মদ রোমান হাওলাদারের উপর পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে হামলা চালায় প্রতিবেশী শামসুল হক ও তার পরিবারের লোকজন। হামলায় আহত ওই সাংবাদিককে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় সিরাজদিখান থানায় লিখিত অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী প্রতিবেশী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার রশুনিয়া ইউনিয়নের চোরমর্দ্দন গ্রামের বাসিন্দা শামসুল হক গ্রামের ৫০-৬০ পরিবারের যাতায়াতের রাস্তা বন্ধ করে তার বাড়ির সীমানায় টিনের বেড়া নির্মাণ করেন। গ্রামের লোকজনের যাতায়াতে সমস্যা হওয়ার কারণে একই গ্রামের বাসিন্দা সাংবাদিক মোহাম্মদ রোমান হাওলাদার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইজবুকে এ নিয় গত শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) রাস্তার ছবিসহ একটি স্ট্যাটাস দেন। স্ট্যাটাসের জেরে গতকাল সোমবার বেলা পৌনে ১২ টার দিকে সাংবাদিক মোহাম্মদ রোমান হাওলাদার বাড়ি থেকে বের হয়ে অ়ভিযুক্ত সামসুল হকের বাড়ী সংলগ্ন রাস্তায় পৌছা মাত্র পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে শামসুল হক ও তার স্ত্রীসহ মেয়ে ডলি, লিপি ও নাতি রোহান তার উপর অতর্কিত হামলা চালায়। সামসুল হকের পরিবারের লোকজন টানা হেচড়ার এক পর্যায়ে সাংবাদিকের ডাক চিৎকারে আশপাশের প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসার জন্য পাঠায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের এক ব্যক্তি বলেন, সামসুল হক এলাকায় তিনি স্থানীয় আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী এক নেতার প্র়ভাব খাটিয়ে দীর্ঘদিন ধরে এলাকা বিভিন্ন অপকর্মে করে চলেছেন। কয়েক মাস পূর্বে সামসুল হক তার বাড়ী সংলগ্ন ইছামতী নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তলোনের করে জায়গা ভরাটের দায়ে জরিমানাও দিয়েছেন। এছাড়া হিন্দুদের মন্দিরের জায়গা জবর দখল করে কবজা করতে গিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের বিভিন্ন সংগঠনের চাপে পরে হজম করতে না পেরে দখলকৃত জায়গা মন্দির কমিটিকে সম্প্রতি বুঝিয়েও দিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে নারাজ। কারণ তিনি ক্রীমিণালী মাইন্ডের লোক। আজকে তারা যে কারণে সাংবাদিকের উপর হাত তুলেছে এটা তাদের চরম অন্যায় হয়েছে। ভুক্তভোগী সাংবাদিক বলেন, সকালে বাড়ি থেকে বরে হচ্ছিলাম। রাস্তার সামনে পৌছা মাত্র হঠাৎ করে শামসুল হক আমার সার্টের কলার ধরে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দিসছ কেন তোকে আজকে মেরেই ফেলবো এ বলে এলোপাথারি ঘুষি শুরু করে। এসময় সামসুল হকের স্ত্রী ও দুই মেয়ে ডলি ও লিপিসহ নাতি রোহান এসে আমার হাত ধরে রাখে। পরে প্রতিবেশীরা আমাকে তাদের হাত থেকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয় হাসপাতালে পাঠায়। গ্রামবাসীর যাতায়াতের রাস্তার জায়গার মালিক সামসুল হক নিজে হলেও তিনি গ্রামের লোকজনের যাতায়াতের রাস্তায় বেড়া দিয়ে ৫০-৬০ টা পরিবারকে বেকায়দায় ফেলেছেন। তারা আমাকে রাস্তা দিকে যেতে দিবে না। গেলে আমার হাত পা ভেঙে দেওয়ার হুমকিও দিয়েছে। আমি এ ব্যপারে থানায় অভিযোগ দায়ের প্রক্রিয়াধীন। সেই সাথে গ্রামবাসীর যাতায়াতের রাস্তা উদ্ধারের জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

অভিযুক্ত সামসুল হকের মুঠোফোনে কল করা হলে তার মেয়ে ডলি আক্তার ফোন রিসিভ করেন। এসময় সাংবাদিকের উপর হামলার ব্যপারে জানতে চাইলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ও যাওয়ার সময় আমার বাবা ওকে স্ট্যাটাসের ব্যপারে জিজ্ঞেস করেছে। মারামারি হয় নাই। আমার বাবা একজন সম্মানী লোক তাকে নিয়ে কেউ লেখালেখি করবে আমরা ছেড়ে দিবো নাকি! স্ট্যাটাসে কারো নাম উল্লেখ করা হয়েছিলো কিনা জানতে চাওয়া হলে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেন নি।

এ ব্যপারে রশুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট আবু সাঈদ জানান, ঘটনাটি দুপুরে জানতে পেরেছি। কোন সাংবাদিকের সাথে এ ধরনের ঘটনা সংঘটিত হওয়া খুবি দুঃখজনক। দোষীদের আইনের আওতায় আনাসহ তাদের বিচার নিশ্চিতে পরিষদের পক্ষ থেকে সর্বাত্নক সহযোগীতা করবো।

সহকারী পুলিশ সুপার (সিরাজদিখান সার্কেল) মোস্তাফিজুর রহমান রিফাত বলেন, এটা ব্যাক্তি কেন্দ্রীক ঘটনা। এটা সাংবাদিক-মুক্তিযোদ্ধার কোন বিষয় না। যদি কেউ অভিযোগ করে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ জাতীয় আরো সংবাদ