1. successrony@gmail.com : Mehedi Hasan Rony :
  2. arif_rashid@live.com : Arif Rashid : Arif Rashid
  3. meherunnesa3285@gmail.com : Meherun Nesa : Meherun Nesa
বৃহস্পতিবার, ১১ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:০৯ অপরাহ্ন

কলসকাঠীতে ঐতিহ্যের উচ্ছ্বাসে মুখরিত পিঠা উৎসব

মেহেদী হাসান রনি
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৯
  • ৯৬৮ বার

হাজার বছরের সমৃদ্ধশালী সংস্কৃতির উত্তরাধিকারী আমরা। খাদ্যরসিক বাঙালি প্রাচীনকাল থেকে প্রধান খাদ্যের পরিপূরক মুখরোচক অনেক খাবার তৈরি করে আসছে। তবে পিঠা সর্বাধিক গুরুত্বের দাবিদার। শুধু খাবার হিসেবেই নয় বরং লোকজ ঐতিহ্য এবং নারীসমাজের শিল্প নৈপুণ্যের স্মারক রূপেও পিঠা বিবেচিত হয়। বাঙালির হাজার বছরের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির সঙ্গে মিশে আছে পিঠা। যখনই পিঠা-পায়েস, পুলি কিংবা নাড়ুর কথা উঠে তখনি যেন শীত ঋতুটি আমাদের চোখে ও মনে ভেসে ওঠে। প্রতি শীতেই গ্রাম বাংলার ঘরে ঘরে শুরু হয় পিঠা পুলির উৎসব।

বাংলার নারীসমাজ অতীতে শিক্ষাদীক্ষায় অনগ্রসর ছিল সত্য, কিন্তু স্বীকার করতে হবে এদেশের নারী সমাজ লোকজ শিল্পকর্মে অত্যন্ত নিপুণ এবং সুদক্ষ। এলাকা অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন বা আলাদা রকম পিঠা তৈরি হয়ে থাকে। গ্রামাঞ্চলে সাধারণত নতুন ধান ওঠার পর থেকেই পিঠা তৈরির আয়োজন করা হয়।

শীতের সময় বাহারি পিঠার উপস্থাপন ও আধিক্য দেখা যায়। বাঙালির লোক ইতিহাস ও ঐতিহ্যে পিঠা-পুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে বহুকাল ধরে। এটি লোকজ ও নান্দনিক সংস্কৃতিরই বহি:প্রকাশ। যান্ত্রিক সভ্যতার এই ইট-কাঠের নগরীতে হারিয়ে যেতে বসেছে পিঠার ঐতিহ্য। সময়ের স্রোত গড়িয়ে লোকজ এই শিল্প আবহমান বাংলার অপরিহার্য অঙ্গ হয়ে উঠলেও এ যুগে সামাজিকতার ক্ষেত্রে পিঠার প্রচলন অনেকটাই কমে এসেছে।

তাই মুখরোচক খাবার হিসেবে পিঠার স্বাদ গ্রহণ ও জনসমক্ষে একে আরো পরিচিত করে তুলতে শহরে ও গ্রামে বিভিন্ন স্থানে শীতকে ঘিরে আয়োজন করা হয় পিঠা উৎসব। লোকজ এই ঐতিহ্যকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার প্রয়াসে বাঙালির পিঠা পার্বণের আনন্দধারায় গত ২৬ ডিসেম্বর কলসকাঠী বি এম একাডেমি বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণে প্রথমবারের মত অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘পিঠা উৎসব ১৪২৬’।

কলসকাঠী বি এম একাডেমীর প্রধান শিক্ষক দিপক কুমার পাল এর সভাপতিত্বে ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি রফিকুল ইসলামের পৃষ্ঠপোষকতায়, মেহেদী হাসান রনি – আনোয়ার মীর এর পরিকল্পনায় এবং প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের-এর যৌথ আয়োজনে শেষ হয়েছে বর্ণাঢ্য এ পিঠাযজ্ঞ। উৎসবের নিয়মিত আয়োজনের অংশ হিসেবে বিকেল থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত উৎসবস্থলের উন্মুক্ত মঞ্চে অনুষ্ঠিত পিঠা উৎসব ও ব্যাডমিন্টন খেলা (যার পুরস্কার স্পন্সার ছিলেন দিনলিপি নিউজ ডটকম ও পেপারসফট পাবলিকেসন্স)।

বিপুল লোক সমাগমের মধ্য দিয়ে গত বৃহস্পতিবার শেষ হয়েছে ১ দিনব্যাপী জমজমাট এই পিঠার আসর। উৎসবে প্রাণের টানে ছুটে আসা সর্বস্তরের মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে মুখরিত হয়ে ওঠেছে উৎসবস্থল।

খান মোঃ হাবিবুর রহমানের সফল সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন মোঃ আনোয়ার মীর, মামুন শিকদার, কলসকাঠী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষক সৈয়দ নাজমুল করিম (মামুন) ও সালাউদ্দিন সুজন মীর। কান্তা হাসান মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মনির হাওলাদার, ঢাপরকাঠী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক সুমন পাল। ছাত্র নেতা আবু সালেহ্ মোঃ বশির, হেলাল গাজি, এনসান আলী, রাজিব, মিলন, মেহেদী হাসান, কানাই কর্মকার, আবুল বাশার, উত্তর কর্মকার, গোপাল পাল, উজ্জল হাওলাদার প্রমুখ।

এ জাতীয় আরো সংবাদ