গত ২৮ অক্টোবর দৈনিক সভ্যতার আলো পত্রিকায় “মুক্তিযোদ্ধা ভবনে উড়ে না জাতীয় পতাকা” শিরেনামে সংবাদ প্রকাশের পর সম্প্রতি ভবনটিতে তরিঘরি করে পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে। তবে সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পতাকা উত্তোলিত রাখার নিয়ম থাকলেও মুক্তিযোদ্ধা ভবনে উত্তোলিত পতাকা সূর্যাস্তের পরও নামানো হচ্ছে না। পতাকা উত্তোলনের পর থেকে এ পর্যন্ত গভীর রাতেও পতাকা উড়তে দেখা গেছে। পতাকা না নামানোকে কেন্দ্র করে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের রাজনৈতিক, অরাজনৈতিক ও সুশিল সমাজের লোকজন জাতীয় পতাকার অবমাননা করা হচ্ছে বলে মনে করছেন।
তারা বলছেন, জাতীয় পতাকার অবমাননা করার অর্থ হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকার করা। স্বাধীন বাংলাদেশকে অস্বীকার করা। এদিকে ২৮ নভেম্বর পতাকা নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর সিরাজদিখানের মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের বেশ কয়েকজন প্রশাসনিক মহলে মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে মর্মে রিপোর্টারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন। প্রশাসনিক ভাবে বিষয়টি খতিয়ে দেখার পর তাদের মৌখিক অভিযোগের বিষয়টি মিথ্যা বলে প্রমানিত হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সিরাজদিখান উপজেলার এক মুক্তিযোদ্ধা বলেন, ৩০ লক্ষ শহীদের রক্ত আর মা বোনদের ইজ্জতের বিনিময়ে ৯ মাস যুদ্ধ করে অর্জিত এ পতাকার প্রতি যদি অবমূল্যায়ন করা হয়, তাহলে মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মা কষ্ট পাবে। অনেক কষ্ট ও ত্যাগের বিনিময়ে মুক্তিযোদ্ধারা দেশ স্বাধীন করেছেন। তাই জাতীয় পতাকার প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করা আপনার, আমার, সবার নৈতিক দায়িত্ব। এ ব্যপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ফয়েজুল ইসলাম বলেন, যেতেতু সেখানে কেয়ারটেকার নেই তাই সূর্যোদয়ে উত্তোলন ও সূর্যাস্তের সময় নামানোর কথা ভবনের নিচতলার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বলে দিয়েছি। তারা যদি না নামিয়ে থাকে তাহলে আমি এক্ষুনি ব্যবস্থা নিচ্ছি।