মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে প্রেমের টানে যুবকের হাত ধরে এক মাদ্রাসা ছাত্রীর পলায়নের ঘটনা ঘটেছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার কোলা ইউনিয়নের দক্ষিন নন্দনকোনা (পাড়াভোম) গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ওই ছাত্রী দক্ষিন নন্দনকোনা (পাড়াভোম) গ্রামের মোঃ তাজুর মেয়ে তানজিলা আক্তার (১৫ বছর ৫ মাস) ও হাতরপাড়া হাফিজিয়া মাদ্রাসার নবম শ্রেণির ছাত্রী এবং যুবক একই গ্রামের দ্বীন ইসলাম ওরফে দিলুর ছেলে মোঃ রিংকু (২৬)।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তানজিলা আক্তার ও রিংকুর বাড়ী একই গ্রামে হওয়ার সুবাদে তাদের উভয়ের মধ্যে মন দেওয়া নেওয়াসহ প্রেমের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে তাদের সম্পর্কের বিষয়টি পারিবারিক ভাবে জানাজানি হলে উভয়ের পরিবারের লোকজন তাদেরকে সম্পর্ক ছিন্ন করতে চাপ প্রয়োগ করে। তাদের প্রেমের সম্পর্ক পারিবারিক ভাবে মেনে না নেওয়ায় তানজিলা কয়েক মাস পূর্বে বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। পরে তারা তাদের সম্পর্ক গোপন রেখে সুযোগ বুঝে একে অপরের হাত ধরে সংসার বেধে সুখি হবার উদ্দেশ্যে অজানার পাড়ি জমায় বলে স্থানীয় লোকজন জানায়।
এদিকে যুবকের হাত ধরে মাদরাসা ছাত্রীর পলায়নের খবর পেয়ে সরেজমিনে ছেলে এবং মেয়ের বাড়িতে গিয়ে তাদের কাউকেই পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে স্থানীয় একটি সূত্র থেকে জানা যায়, গোপনে কোর্ট রেজিষ্ট্রি করে তাদের বিবাহ সম্পন্ন করা হয়েছে! ১৫ বছর ৫ মাস বয়সী একটি অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়ের কোর্ট রেজিষ্ট্রি করে বিবাহ কি করে হয়? এমনটাই প্রশ্ন স্থানীয়দের। নাম প্রকাম না করার শর্তে স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, কয়েকমাস আগে ওই ছেলের জন্য মেয়েটি বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করে। শুনেছি তাদের প্রেমের সম্পর্ক বহু দিনের৷ কালকে শুনলাম কোর্টে বিয়ে করে নাকি মেয়েকে ছেলের বাড়িতে নিয়ে আসছে ছেলেন বাড়ির লোকজন। তবে দেখি নাই। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।